মোহাম্মদ

মোহাম্মদ (সাঃ) মৃত্যুর শেষ মুহূর্তে, আলী (রাঃ) এর কানে শেষ কথাটা কি বলেছিলো?

হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনের শেষ মূহুর্ত চলছে। ‘ সেখানে একজন লোক এসে ‘সালাম’ জানিয়ে বললেন, আমি কি ভিতরে আসতে পারি। হযরত ফাতিমা (রাঃ) বললেন, দুঃখিত আমার পিতা খুবই অসুস্থ। হযরত ফাতিমা (রঃ) দরজা বন্ধ করে রাসূলের কাছে গেলেন।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বললেন, কে সেই লোক? হযরত ফাতিমা বললেন, এই প্রথম আমি তাকে দেখেছি। আমি তাকে চিনি না। রাসুল(সাঃ) বললেন শুনো ফাতিমা, সে হচ্ছে আমাদের এই ছোট্ট জীবনের অবসানকারী ফেরেশতা আজরাইল।

এটা শুনে হযরত ফাতিমার অবস্থা তখন ক্রন্দনরত বোবার মতো হয়ে গিয়েছে। রাসূল (সাঃ) বললেন, হে জিবরাঈল আমার উম্মতের কি হবে? আমার উম্মতের নাজাতের কি হবে ? জিবরাঈল (আঃ) বললেন, হে রাসুল আপনি চিন্তা করবেন না, আল্লাহ ওয়াদা করেছেন আপনার উম্মতের নাজাতের জন্যে।

মৃত্যুর ফেরেশতা ধীরে ধীরে রাসূলের কাছে এলেন জান কবজ করার জন্যে। মালাইকাত মউত আজরাইল আরো কাছে এসে ধীরে ধীরে রাসূলের জান কবজ করতে থাকলেন।

পাশে দাঁড়িয়ে থাকা জিব্রাইলকে রাসূল বললেন ঘোঙানির সাথে, ওহ জিবরাঈল এটা কেমন বেদনাদায়ক জান কবজ করা। ফাতিমা (রাঃ) তার চোখ বন্ধ করে ফেললেন, আলী (রাঃ) তার দিকে উপুড় হয়ে বসলেন, জিবরাঈল তার মুখটা উল্টা দিকে ফিরিয়ে নিলেন। রাসূলুল্লাহ (সঃ) বললেন, হে জিবরাঈল তুমি মুখটা উল্টা দিকে ঘুরালে কেন, আমার প্রতি তুমি বিরক্ত ?

জিবরাঈল বললেন, হে রাসূলুল্লাহ সাকারাতুল মউতের অবস্থায় আমি আপনাকে কিভাবে দেখে সহ্য করতে পারি! ভয়াবহ ব্যাথায় রাসূল ছোট্ট একটা গোঙানি দিলেন।

রাসূলুল্লাহ বললেন, হে আল্লাহ সাকারাতুল মউতটা (জান কবজের সময়) যতই ভয়াবহ হোক, সমস্যা নেই, আমাকে সকল ব্যথা দাও আমি বরণ করবো, কিন্তু আমার উম্মাতকে ব্যথা দিওনা।

রাসূলের শরীরটা ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয়ে আসতে লাগলো। তার পা, বুক কিছুই নড়ছে না এখন আর। রাসূলের চোখের পানির সাথে তার ঠোঁটটা কম্পিত ছিলো, তিনি কিছু বলবেন মনে হয়।

হযরত আলী (রাঃ) তার কানটা রাসূলের মুখের কাছে নিয়ে গেলো। রাসূল বললেন, নামাজ কায়েম করো এবং তোমাদের মাঝে থাকা দূর্বলদের যত্ন নিও। রাসূলের ঘরের বাইরে চলছে কান্নার আওয়াজ, সাহাবীরা একজন আরেকজনকে জড়িয়ে ধরে উচ্চস্বরে কান্নারত।

হযরত আলী (রাঃ) আবার তার কানটা রাসূলের মুখের কাছে ধরলো, রাসূল চোখ ভেজা অবস্থায় বলতে থাকলেন, ইয়া উম্মাতি, ইয়া উম্মাতি, “হে আমার উম্মতেরা নামাজ, নামাজ..! নামাজ..!

শেয়ার করুন: