গত সোমবার (১৩ মে) ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এ কমিটিকে বিতর্কিত আখ্যা দিয়ে তা ভেঙে নতুন কমিটি দেওয়ার দাবি জানিয়েও মঙ্গলবার (১৪ মে) ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন পদবঞ্চিতরা।
ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে স্থান পাওয়া প্রায় অনেক নেতার বিরুদ্ধেই বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে ‘বিতর্কিত’দের বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷
আজ বুধবার দুপুরে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে গণভবনে ডেকে এ নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা৷
এ বিষয়ে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের কমিটি থেকে ‘বিতর্কিত’দের বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন৷ নেত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী এক সপ্তাহের মধ্যে একটি তদন্ত কমিটি করে ‘বিতর্কিত’দের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
বৈঠকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, উপদফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য এস এম কামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
গণভবন সূত্রে জানা গেছে, শোভন-রাব্বানীর সঙ্গে কথা বলার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানকের সঙ্গে একান্তে আলাপ করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ তালিকায় থাকা ১২/১৫ জন বিতর্কিত নেতার নাম কালি দিয়ে চিহ্নিত করে তাদের বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন। তালিকায় যদি আরও কোনো বিতর্কিত নেতা থাকেন খোঁজ-খবর নিয়ে তাদেরকেও বাদ দিতে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
এ বিষয়ে শোভন বলেন, নেত্রী ‘বিতর্কিত’দের ব্যাপারে ওঠা অভিযোগগুলো যাচাই-বাছাই করার নির্দেশ দিয়েছেন। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে, তাদের সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷
যাদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা আছে, যারা বিবাহিত, মাদক ব্যবসার সঙ্গে যাদের সংশ্লিষ্টতা আছে কিংবা যাঁদের পরিবার বিএনপি-জামায়াত ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত, তাদেরও কমিটি থেকে অব্যাহতি দিতে বলেছেন তিনি৷
এছাড়াও যারা কমিটি ঘোষণার পর থেকে ক্ষোভ প্রকাশের নামে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে তাদের ব্যাপারেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।