পীযূষ বন্দোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের দাবিতে আগামীকাল সারাদেশে মিছিলের ডাক

দাড়ি রাখা, টাখনুর ওপর কাপড় পরা ‘জঙ্গি লক্ষণ’ বলে প্রচারিত ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ নামের একটি সংগঠন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল। এরপরই বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন তাদের এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানায়।

সংগঠনটির আহ্বায়ক অভিনেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দোপাধ্যায়। সমালোচিত সংগঠন ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’কে নিষিদ্ধ এবং পীযুষ বন্দোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের দাবিতে আগামী শুক্রবার বাদ জুমা রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে প্রতিবাদ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইসলামী ঐক্যজোট। পাশাপাশি সারাদেশের প্রতিটি মসজিদ থেকে বাদ জুমা বিক্ষোভ মিছিল করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার ইসলামী ঐক্যজোটের লালবাগের কার্যালয় মিলনায়তনে ইসলামী ঐক্যজোট আয়োজিত ইফতার মাহফিলে এই কর্মসূচি ঘোষণ করে দলটি। ইফতার মাহফিলে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল লতিফ নিজামী বলেন, ‘যারা বলে দাড়ি টুপি ও টাখনুর উপর কাপড় পড়া জঙ্গিবাদের আলামত মূলত তারাই প্রকৃত জঙ্গি। এই কুচক্রিমহল চায় না এদেশে ইসলামের সৌন্দর্য ফুটে উঠুক।

‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ নামক সংগঠন ইহুদিদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছে। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সকল মুসলমানকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, ‘সম্প্রতি তথাকথিত ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ এর প্রধান পীযূষ বন্দোপাধ্যায় দাড়ি টুপি ও টাখনুর উপর কাপড় পড়া জঙ্গি লক্ষণ বলে মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর হামলা করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

আমি মনে করি পীযূষ বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অমুসলিমদেরও প্রতিবাদ করা উচিত। সরকারকে অবিলম্বে পীযূষ বন্দোপাধ্যায়কে গ্রেফতার এবং সম্প্রীতি বাংলাদেশ নামক উগ্রবাদী সংগঠন নিষিদ্ধ ঘোষণার জোর দাবি জানাচ্ছি। তা না হলে এদেশের ইসলামপ্রিয় জনতা আগামীতে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবেন।’

মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, ‘জঙ্গিবাদ বলতে কোনো কিছু আছে কি না জানি না তবে সন্ত্রাসবাদ তো সারা দুনিয়ার সমস্যা। সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে এ দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে ওলামায়ে কেরাম যতটা সচেতনতা তৈরি করেছেন এবং করছেন আর কেউ তার সিকিভাগও করতে পারেননি।’

তিনি বলেন, ‘প্রচলিত সন্ত্রাস অথবা জঙ্গিবাদের সঙ্গে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। ওলামায়ে কেরাম বিভিন্নভাবে বহুবার তা স্পষ্ট করেছেন। মনে রাখতে হবে, সন্ত্রাসবাদ রাজনৈতিক সমস্যা, ধর্মীয় সমস্যা নয়। হাজার বছর ধরে কোরআন ও হাদিস পৃথিবীতে আছে, একটা নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট কোনো গোষ্ঠী কোরআন ও হাদিসকে মাধ্যম বানিয়ে সহিংসতা করলে এর দায় ধর্মের ওপর চাপানো যাবে না।’

ইফতার মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী, মাওলানা আব্দুর রশিদ মজুমদার, মাওলানা যোবায়ের আহমদ, মাওলানা জসিমউদ্দিন, যুগ্ম মহাসচিব মুফতী তৈয়্যব হোসাইন, মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা আবুল কাশেম, মাওলানা শেখ লোকমান হোসাইন, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আলতাফ হোসাইন, মাওলানা সাইফুল্লাহ হাবিবী প্রমুখ।

শেয়ার করুন: