মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীন ২০১৮ সালের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় বৃত্তি পাওয়া তিন বোর্ডের শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকা, যশোর ও বরিশাল বোর্ডের ওয়েবসাইটে ফল দেয়া হয়েছে। তবে বাকি শিক্ষাবোর্ডগুলোর ফল এখনও প্রকাশ করা হয়নি। আগামীকাল বুধবারের মধ্যে সব বোর্ডের ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল মঙ্গলবার বলেন, ঢাকা বোর্ডের ২০১৮ সালের জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বৃত্তির ফল প্রকাশ করা হয়েছে। ঢাকা বোর্ডের অধীন ৫ হাজার ২২ জনকে ‘মেধাবৃত্তি’ এবং ৯ হাজার ৯৫৭ জনকে ‘সাধারণ বৃত্তি’ দেয়া হয়েছে।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী সাধারণত জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মেধা কোটা বৃত্তি দেয়া হতো। কিন্তু এবার কোনো কোনো উপজেলায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী পর্যাপ্ত না থাকায় বৃত্তি বণ্টনে জটিলতায় পড়ে বোর্ড। পরে এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চায় তারা। এরই ভিত্তিতে জিপিএ-৫-এর বিষয়টি শিথিল করে এই বৃত্তি বণ্টন করা হয়।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সব বৃত্তির ন্যূনতম যোগ্যতা জিপিএ-৩ ঠিক করা হয়েছে। এসব কাজ করতে গিয়ে এবার বৃত্তির ফল প্রকাশে দেরি হয়েছে বলে অভিযোগ।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করে ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থী কম থাকায় জেএসসির বৃত্তির ফল প্রকাশে দেরি হয়েছে তা সত্যি নয়, প্রতি বছর এপ্রিল-মে মাসেই এ বৃত্তির ফল প্রকাশ করা হয়। বৃত্তির নীতিমালা অনুযায়ী, পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে বৃত্তি দেয়া হয়। সেখানে কিছুটা জটিলতা হওয়ায় আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নির্দেশনা চাই, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী জেএসসির বৃত্তির ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী, বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ পাবে। বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাসিক বেতন (টিউশন ফি) আদায় করতে পারবে না সরকারি অনুদান পাওয়া ও শিক্ষা বোর্ডের অধীন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। করলে ওই প্রতিষ্ঠানপ্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
‘মেধাবৃত্তি’ পাওয়া প্রত্যেক শিক্ষার্থী মাসে ৪৫০ টাকা ও ‘সাধারণ বৃত্তি’ পাওয়া শিক্ষার্থী মাসে ৩০০ টাকা হারে বৃত্তি পাবে। এ ছাড়া এককালীন বইপত্র ও যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ‘মেধাবৃত্তি’ পাওয়া শিক্ষার্থীরা ৫৬০ টাকা এবং ‘সাধারণ বৃত্তি’ পাওয়া শিক্ষার্থীরা ৩৫০ টাকা পাবে। অনিয়মিত শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পাবে না। এই বৃত্তির মেয়াদ আগামী দুই বছর (২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত।