বহেড়া

বহেড়ার নানাবিধ উপকারিতা

বহেড়া ( Beharda) এক ধরনের ঔষধি ফল। বহেরা গাছ খুবই উপকারী। এর বৈজ্ঞানিক নাম Terminalia balerica। এর আর একটি স্হানীয় নাম রয়েছে বয়ড়া। বহেড়া গাছ খুব উঁচু হয়। এর ফল গোলাকার ধুসর বর্ণের। ফলে একটি মাএ বীজ থাকে। বীজের ভেতর থাকে শাঁস। এই গাছ ৬০-১০০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

এই গাছের পাতা দেখতে কাঁঠাল পাতার মতো মোটা আর লম্বায় প্রায় ৫ ইঞ্চি। গ্রীষ্মকালে এই গাছে ফুল আসে এবং শীতকালে বা ডিসেম্বর মাসে এর ফল পাকে। বহেড়া বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করে উপকার পাওয়া যায়। এটি বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের ছোটনাগপুর, বিহার, হিমাচল প্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে জন্মে। এটি ভেষজ হিসেবে বেশ উপকারী।

উপকারিতা: ১। বহেড়া শাঁস মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে শ্বাসকষ্ট ভালো হয়। ২। হৃদরোগ দেখা দিলে বহেড়ার সাথে আখের গুড় মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। ৩। সামান্য লবন, বহেড়ার গুড়া ,মধু একসঙ্গে খেলে সর্দি, কফ, গলায় ঘা এর উপকার হয়। ৪। সাদা বা রক্ত যে কোনও আমাশয়ে প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস পানির সাথে এক চামচ বহেড়া গুড়া খেলে উপকার পাওয়া যায়।

৫। বহেড়ার শাঁস মধুসহ পিষে চোখে প্রলেপ দিলে নে এ রোগে উপকার পাওয়া যায়। ৬। বহেড়া বিচির শাঁসের তেল বের করে শ্বেতীর ওপর লাগালে কয়েকদিনে মধ্যে উপকার পাওয়া যায়। ৭। বহেড়া বিচির শাঁস বেটে চন্দনের মতো করে বেটে লাগালে টাক ভালো হয়। ৮। শরীরের কোন স্থানে ফুলে গেলে বা ব্যথা হলে বহেড়ার ছাল বেটে একটু গরম করে নিয়ে ফুলো জায়গায় প্রলেপ দিলে ব্যথা ও ফুলো কমে যায়।

ঔষধি গুণ: কথিত আছে, প্রতিদিন বহেড়া ভেজানো জল এক কাপ পরিমাণ পান করলে দীর্ঘায়ু হওয়া যায়। বহেড়া হৃত্‍পিণ্ড এবং যকৃত্‍ রোগের আক্রমণ কমায়। সর্দি-কাশি নিরাময় করে। এটা কৃমিনাশক, স্বরনাশক এবং অনিদ্রা দূর করে। এ ছাড়া পাইলস, হাঁজল ও কুষ্ঠরোগে বহেড়ার চিকিত্‍সা বেশ ফলপ্রসূ।

ভেষজ দাওয়াই ব্যবহার: বহেড়া বিশেষভাবে পরিশোধিত করে এর ফল, বীজ এবং বাকল ব্যবহৃত হয় বিভিন্ন রোগের প্রতিরোধ ও চিকিত্‍সায়।

শেয়ার করুন: