নুসরাত হত্যায় বোরকা-কেরোসিনের টাকা দেন যিনি

ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে ১০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন সোনাগাজী পৌরসভার কাউন্সিলর ও সোনাগাজী পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাকসুদ আলম।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) জানিয়েছে, এই টাকা দিয়ে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বোরকা, হিজাব, কেরোসিন ও দড়ি কেনা হয়েছিল।

রবিবার (১২ মে) রাজধানী ঢাকার মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম।

এছাড়া ফেনীর পুলিশ সুপার (এসপি) জাহাঙ্গীর আলমকে গত রবিবার প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে।

মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় টাকা লেনদেন হলেও মানি লন্ডারিংয়ের প্রমাণ পাওয়া যায় নি। আমরা এখন পর্যন্ত যে তথ্য পেয়েছি, তাতে দেখা যায় হত্যাকান্ডের আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাকসুদ আলম ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে ১০-১২ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। আমরা বিষয়টি আরও তদন্ত করে দেখছি বলে জানান তিনি।

অবশ্য এর আগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, নুসরাত জাহান রাফি হত্যায় মোটা অঙ্কের টাকা মানি লন্ডারিং হয়েছে কিনা, তা বের করতেই সিআইডি ঘটনাটি তদন্ত শুরু করে। মানি লন্ডারিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে অর্থ জালিয়াতির মামলাও করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ যৌন হয়রানির অভিযোগে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতের মায়ের করা মামলায় অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে কারাগারে বসেই অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা মামলা তুলে নেয়ার জন্য নুসরাতের পরিবারকে চাপ দিতে থাকেন।

এরপর ৬ এপ্রিল নুসরাত জাহান রাফি মাদ্রাসায় গেলে তার শরীরে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় অধ্যক্ষের সহযোগীরা। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নুসরাত মারা যান।

শেয়ার করুন: