অর্জুন ( Arijuna) এটি একটি বৃহদাকৃতির বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Terminalia arijuna। এর সংস্কৃত নাম ককুভ। এই গাছটি ১৮-২৫ মিটার হয়ে থাকে। গাছটির মাথা ছড়ানো ডালগুলো নীচের দিকে ঝুলোনো থাকে। পাতা লম্বাটে ৭.৫ – মে সে. মি. ফুল হলুদাভ ও স্পাইক সোজা এবং ফুলের পাপড়ি নাই। ফল লম্বাটে ৫টি ভাজ ও পাখায় বিভক্ত।
ছাল খুব মোটা এবং ধূসর বর্ণের। গাছ থেকে সহজেই ছাল ওঠানো যায়। ফল দেখতে কামরাঙার মতো, পাঁচ খাঁজ বিশিষ্ট কিন্তু আকৃতিতে অনেক ছোট।গোড়ায় অধিমূল আছে। গাছের কাণ্ড একধিক ভাঁজ বা স্তর যুক্ত। স্যাঁতস্যাঁতে ও ঊর্বর দোআঁশ মাটি এ গাছ চাষের জন্য উপযুক্ত। গাছে বৈশাখ–আষাঢ় মাসে ফুল ফুটে এবং পৌষ –ফাল্গুন মাসে ফল পাকে। পরিপক্ক ফল থেকে বীজ সংগ্রহের পর তা ভালভাবে রৌদ্রে শুকিয়ে ৬-১২মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। এই গাছ বাংলাদেশ সহ ভারত, পাকিস্তান,শ্রীলঙ্কায় জন্মে। এই গাছের ছাল, মূল,পাতা ঔষধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
উপকারিতা: ১। অর্জুন গাছের ছাল ভালোভাবে পিষে চিনি ও গরুর দুধের সঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খেলে হৃদরোগ এবং বুক ধড়ফড় ভালো হয়। ২। অর্জুন গাছের ছালের রস খেলে রক্ত চাপ কম থাকে। ৩। রক্তক্ষরণ হলে রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেকে পানি খেলে আরোগ্য হয়। ৪। শ্বেত হলে অর্জুনের ছাল ভিজানো পানি আধ চামচ কাঁচা হলুদের রস মিশিয়ে খেলে রোগের উপশন হয়। ৫। অর্জুন ফল টুকরো করে তামাকের মত ধোঁয়া টানলে হাঁপানি রোগে উপকার হয়। ৬। অর্জুনের ছালের গুড়া বাসক পাতার রসে ভিজিয়ে ঘি মধু মিশিয়ে খেলে ক্ষয় রোধ হয়।
৭। অর্জুন পাতার রস সেবন করলে আমাশয় রোগ ভাল হয়। ৮। অর্জুনের ছাল চূর্ণ করে এক গ্লাস পরিমাণ দুধসহ প্রতিদিন সেবন করলে হৃদরোগ ভালো হয়। ৯। অর্জুন পাতার রস সেবন করলে চর্ম ও যৌন রোগে উপকার পাওয়া যায়। ১০। অর্জুনের ছাল রস করে পানি দিয়ে গরম করে কুলকুচি করলে মুখ, জিহ্বা ও মাড়ির প্রদাহের এবং মাড়ির রক্তপাত বন্ধ হয়। ১১। জ্বর হলে অর্জুনের পাতা রস করে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
bdview24.com Bangla News from Bangladesh regarding politics, business, lifestyle, culture, sports, crime. bdview24 send you all Bangla News through the day.