ছবি: সংগৃহীত

সেই নার্স হত্যার ঘটনায় বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

চলন্ত বাসে কটিয়াদীর মেয়ে নার্স শাহিনুর আক্তার তানিয়াকে গণধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় রোববার (১২ মে) সরেজমিনে ঘটনাস্থল বাজিতপুর উপজেলার বিলপাড় গজারিয়া এলাকা পরিদর্শন করেছেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বিপিএম-পিপিএম।

এ সময় ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপস এন্ড ইন্টেলিজেন্ট) মো. আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার), পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরাফাতুল ইসলাম, ভৈরব সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রেজুয়ান দিপু ডিআইজির সঙ্গে ছিলেন।

তারা ঘটনাস্থল বিলপাড় গজারিয়ায় প্রত্যক্ষদর্শী ভ্যানচালক জাকির হোসেন (১৯), চাউল ব্যবসায়ী মোশারফ, মামলার বাদী নিহত তানিয়ার পিতা গিয়াস উদ্দিন এবং পিরিজপুর বাজারের সততা ফার্মেসির মালিক হাবিবুর রহমান ও হাওয়া ফার্মেসির মালিক খায়রুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

ভ্যানচালক জাকির হোসেন জানান, সোমবার (৬ মে) রাত ৮টার দিকে চাউলের বস্তা নিয়ে তিনি কটিয়াদী থেকে গজারিয়া বাজারে যাচ্ছিলেন। ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের বিলপাড় গজারিয়া এলাকায় স্বর্ণলতা পরিবহনের একটি বাস রাস্তায় দাঁড়ানো অবস্থায় তিনি দেখতে পান।

এ সময় তিনি বাসের দরজার পাশে রাস্তার উপর আড়াআড়ি একটি মহিলাকে মুমূর্ষু অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। ভ্যানচালক জাকির হোসেন বাসের চালক ও সহযোগীকে জিজ্ঞাসা করলে তারা জানায়, মেয়েটি গাড়ি থেকে লাফ দিয়েছে। ভ্যানচালক তাদেরকে মেয়েটির চিকিৎসার জন্য বললে তারা মেয়েটিকে আবার বাসে উঠিয়ে পিরিজপুরের দিকে নিয়ে চলে যায়।

ডিআইজিসহ পুলিশের কর্মকর্তাগণ পিরিজপুর বাজারের হাবিবুর রহমানের সততা ফার্মেসি ওষুধের দোকান পরিদর্শন করেন। হাবিবুর রহমান জিজ্ঞাসাবাদে বলেন, রাতে স্বর্ণলতা বাসের চালকসহ তিনজন ব্যক্তি অসুস্থ একটি মেয়েকে আমার দোকানে নিয়ে আসে।

তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে আমি তাদেরকে পার্শ্ববর্তী বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেই। বাসের চালক ও তার সহকারীরা অটোরিকশা খোঁজাখুজি করলেও কোন ড্রাইভার মেয়েটিকে চিনতে না পারায় তারা হাসপাতালে নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। অগত্যা তারা মেয়েটিকে পুনরায় তাদের বাসে তুলে কটিয়াদীর দিকে চলে যায়।

হাবিবুর রহমান আরও জানান, মেয়েটি তখন কোন কথা বলতে পারছিল না। বাজারের কেউ তাকে চিনতেও পারছিল না। মামলার বাদী গিয়াস উদ্দিন ডিআইজিকে বলেন, আমার মেয়ে হত্যার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের আমি ফাঁসি চাই। ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন পরে বাজিতপুর থানায় গিয়ে মামলার বিস্তারিত খোঁজখবর নেন।

বিকেলে কিশোরগঞ্জে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন তানিয়া হত্যার সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে মিডিয়া কর্মীদের ব্রিফ করেন।

শেয়ার করুন: