চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জনসাধারণকে ঠকানোর উদ্দেশ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ ও অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে উৎপাদন করে বিক্রয় করছে- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ৭ এর একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ থানাধীন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে।
সেই আদালত দেখতে পান, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ, বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ না থাকা, মিষ্টি রাখার টবে মরা মাছি পড়ে থাকা, দই তৈরির কম্বল অত্যান্ত নোংরা, ফিনিশিং পণ্য ফ্লোরে প্যাকিং করা, স্টোরেজ ফ্লোর স্যাঁতস্যাঁতে অবস্থায় থাকা এবং কর্মরত শ্রমিকরা কোনো ধরনের গ্লাভ্স পরিধান না করে কাজ করছে। এমন সব গুরুতর অপরাধের কারণে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এর ৩৩ এবং ৫৮ (৪) ধারা মোতাবেক বনফুল অ্যান্ড কম্পানিকে চার লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ওদিকে মধুবন ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরি লি. এ গিয়ে দেখা যায় অপরিচ্ছন্ন, পচা ডিমও নষ্ট পাম অয়েল দিয়ে বিস্কুট উৎপাদন করছে, সেমাইয়ের টব খোলা অবস্থায় এবং ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল তেরপল দিয়ে ঢেকে রাখাসহ বিভিন্ন অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ার প্রতিষ্ঠানটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
দুই প্রতিষ্ঠানকে মোট ছয় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় উক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ও নোংরা খাদ্যদ্রব্যসহ এগুলো তৈরির উপকরণ জব্দ করা হয়। এর মধ্যে ৬৫ কেজি নোংরা মিষ্টি, ২১ কেজি দই, দেড় টন লাচ্ছা সেমাই, ৭৫ কেজি মেয়াদোত্তীর্ণ বিস্কুট, ৫২ কেজি ময়দা, ৮০০ পিস কাপ কেক, ৮০ পিস নোংরা কম্বল, ৭৫০ পিস নষ্ট ডিম, ৫০ লিটার তরল ডিম, ১৬০ লিটার পাম অয়েল, ৫২ লিটার ভিনেগার এবং ৪৫০ পিস খালি প্যাকেট জব্দ করা হয়।
পরবর্তীতে জব্দকৃত আলামত র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামানের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয়। সেই সাথে আদায়কৃত জরিমানার সর্বমোট ছয় লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়।