প্রচণ্ড গরমে রোজার কষ্ট থেকে বাঁচার উপায় জেনে নিন

আত্মশুদ্ধির জন্য মুসলিম জাহানে রোজা পালিত হয়। প্রতিদিন ইফতারির উৎসব মুখর পরিবেশে আয়োজন থাকে হাজার পদের খাবার। স্বাস্থ্যের জন্য ভালো-মন্দ বিচার না করেই খাওয়া চলে ভাজা পোড়া মুখরোচক খাবার। জেনে নিন প্রচণ্ড গরমে রোজার কষ্ট এড়াতে যেসব খাবার এবং যেসব খাবার সেহরি ও ইফতারিতে খাবেন।

এই গরমে রোজার কষ্ট মূলত পানি তৃষ্ণায়। সেই তৃষ্ণাকে একদমই ভুলিয়ে দিতে খেতে পারেন ইসুপগুল-মিছরি শরবত, আখের গুড়ের শরবত অথবা ঘৃতকুমারির-তোকমারির শরবত। সেহরিতে একগ্লাস শরবত আপনাকে সারাদিনে পানি পিপাসার কথা একবারও মনে করতে দেবে না।

ইফতারিতে অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার বর্জন করা স্বাস্থ্যের জন্য উপকার। সারাদিন অভুক্ত পেটে এসব খারার গিয়ে হজমের সমস্যা করে। তাই যতদূর সম্ভব তেলচর্বি ও ভাজাপোড়া এড়িয়ে চলা ভালো। হালকা মিষ্টি বা ঝাল জাতীয় রান্না খাবার হতে পারে আপনার আদর্শ ইফতারি।

পানিশূন্যতা দুর করতে বেশি চিনির শরবত অথবা সফট ড্রিঙ্কসের ওপর নির্ভর না করাই ভালো। ঘরে তৈরি লেবু, বেল অথবা অন্য কোনো শরবত খেতে পারেন। আম, তরমুজ, শশা, আনারসের জুস খাওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি থাকায় লেবুর শরবত একদম খালি পেটে খাওয়া উচিৎ নয়। সামান্য কিছু খেয়ে তবেই খেয়ে নিন প্রাণ চাঙা করা একগ্লাস লেবুর শরবত।

ইফতার এবং সেহরিতে যথেষ্ট ফল ও শাক সবজি খেতে হবে। তাজা শাক-সবজি, মাছ ও ফল আপনার স্বাভাবিক হজমে দারুণভাবে সহায়তা করবে। দেহের পানিশূন্যতা দূর করে প্রয়োজনীয় পুষ্টির যোগান দেবে।

ইফতারি বা সেহরিতে যতটা সম্ভব মাংস এড়িয়ে চলা ভালো। মাংস যদি খেতেই হয় তবে লাল মাংস বাদ দেয়া উচিৎ।

রোজা রাখলে সারাদিন আপনাকে সকল প্রকার পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয়। ইফতারির খাবারকে মুখরোচক করতে টেস্টিং সল্ট বা সাধারণ লবণের ব্যবহার বেশি চলে। খাবারে ব্যবহৃত অতিরিক্ত লবণ আপনার পানির তৃষ্ণা বাড়িয়ে দেয়। ফলে রোজা রাখা আপনার জন্য কষ্টকর হয়ে যায়। তাই খাবারের লবণ স্বাভাবিক মাত্রায় রাখা ভালো।

শেয়ার করুন: