গোলাপ

গোলাপের উপকারিতা

গোলাপ (Rose) একটি কাঁটাযুক্ত গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Species।এটি Rosaceae পরিবারের Rosa গণের অন্তভূক্ত। গোলাপ গাছ ও ফুল সকলেই চিনেন। এটি একটি শীতকালীন মৌসুমী ফুল। তবে বর্তমানে গোলাপ সারা বছর ধরেই চাষ করা হচ্ছেপ্রায় ১০০ প্রজাতির বিভিন্ন বর্ণের গোলাপ ফুল রয়েছে।

গোলাপ পাঁপড়ির গড়ন ও বিন্যাসে একরূপ নান্দনিকতা রয়েছে যা মানুষকে আকৃষ্ট করে। সুগন্ধী গোলাপের ঘ্রাণও মানুষের প্রিয়। তবে গোলাপের নিজস্ব কোন গন্ধ নেই। গোলাপ বাংলাদেশে অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত গোলাপের চারা রোপণের উপযুক্ত সময়।

এছাড়াও গোলাপ ভারতের বিভিন্ন রাজ্জাক ব্যবসায়িক ভিওিতে এর চাষ করা হয়ে থাকে। তবে জলবায়ু ও মৃওিকা অনুযায়ী গোলাপ ফুলের আকার এবং গন্ধ হয়ে থাকে। বাংলাদেশ ভারত ছাড়াও ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, এশিয়া মহাদেশ, উত্তর পশ্চিম আফ্রিকা মহাদেশে এই গোলাপ চাষ করা হয়ে থাকে। গোলাপের ফুল ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

গোলাপের রাসায়নিক উপাদান: গোলাপের অনেক উপকারিতা রয়েছে। গোলাপের পাপড়ি তে রয়েছ যৌগ মেটাবলিজম যা শরীরের অনেক সমস্যা সমাধান করে। এতে আরোও রয়েছে ভিটামিন এ,সি, বি৩ ও ই এর অন্যতম উৎস।কারন গোলাপজল "রিলাক্সিং এজেন্ট" হিসেবে ব্যবহৃত হয় যা স্নায়ুগুলোকে সতেজ করে। গোলাপ পাপড়ির চা আলসার, অ্যাজমা, ডিহাইড্রেশন সহ বিভিন্ন রোগ নিরাময় করতে সহায়তা করে।

উপকারিতা: ১। এক গ্লাস গরম পানিতে গোলাপের পাপড়ি দিয়ে এর মধ্যে আপনি সামান্য পরিমাণ মধু এবং এক চিমটি দারুচিনি গুড়া মিশিয়ে খেয়ে নিন দেখবেন ওজন নিয়ন্ত্রনে থাকবে।

২। অরুচি দেখা দিলে গোলাপের পাপড়ি বেটে মধুর সাথে খেলে উপকার পাওয়া যায়। ৩। আধাফোটা গোলাপ বেটে অল্প পরিমান চিনির সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন খেলে পিওজনিত বমন দূর হয়। ৪। গোলাপের পাপড়ি বেটে খালি পেটে খেয়ে ফেলুন। এইভাবে ৩ দিন সেবন করলে পাইলস ভালো হয়।

৫। গরম পানিতে গোলাপের পাপড়ি ছিটিয়ে গোসল করলে মানসিক চাপ কমে। ৬। দুধের সাথে কয়েক ফোটা মধু গোলাপের পাপড়ির সাথে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট ঠোঁটে লাগালে কালচে ভাব দূর হয়। ৭। গোলাপের পাপড়ি ত্বকের টোনার হিসেবে খুবই উপকারী। ৮। নিয়মিত গোলাপের পানি ব্যবহার করলে ত্বক হয়ে উঠে উজ্জ্বল ও মসৃন।

৯। নিয়মিত গোলাপের পানি দিয়ে মুখ ধুলে রোদে পোড়া ভাব কমে যায়। ১০। গোলাপের পাপড়ি বেটে চোখের নিচে লাগালে কালো দাগ দূর হয়। ১১। গোলাপ পাপড়ি দিয়ে চা বানিয়ে খেলে আলসার, অ্যাজমা ভালো হয়। ১২। ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ও ১ চা চামচ গোলাপের রস মিশিয়ে মুখে লাগান। এটি ত্বকে ময়েশ্চারাইজার এর কাজ করবে।

শেয়ার করুন: