রমজানের এ দিনে নবীকন্যা ফাতিমা (রা.) ইন্তেকাল করেন

বৃহস্পতিবার (০৯ মে)। পবিত্র রমজানের তৃতীয় সাওম পালিত হচ্ছে। এদিনে ইসলামের ইতিহাসে ঘটে যাওয়া কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা পাঠকদের জন্য বর্ণনা করা হলো-

এক. দ্বিতীয় হিজরির এ দিনে রাসুল (সা.) কুরাইশের মুশরিকদের প্রতিরোধ করতে ও চূড়ান্ত যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে নেতৃস্থানীয় কিছু মুসলিমকে নিয়ে বদর প্রান্তরের উদ্দেশ্যে বের হোন।

দুই. ১১ হিজরির এ দিনে রাসুল (সা.)-এর প্রিয়তম কন্যা ফাতিমাতুজ জাহরা (রা.) ইন্তেকাল করেন।

বদরের যুদ্ধের পর আলি (রা.)-এর সঙ্গে ফাতিমা (রা.)-এর বিয়ে সম্পন্ন হয়। হাসান, হুসাইন ও মুহসিন (রা.) ছিলেন তাদের পুত্র এবং যাইনাব ও উম্মে কুলসুম কন্যা। তবে মুহসিন শিশুকালেই মারা যান।

তিন. ৩২ হিজরিতে আলি বিন আবি তালিব (রা.) ও মুয়াবিয়া বিন আবি সুফয়ান (রা.)-এর মাঝে সমোঝতা বৈঠক হয়। উসমান (রা.)-এর শাহাদতের পর এটি ছিল সবচেয়ে ভয়ানক দ্বন্দ্ব ও সংঘাত।

যার ফলে পথভ্রষ্ট ‘খারিজি’ দলের উৎপত্তি ঘটে। আলি (রা.)-এর পক্ষ থেকে আবু মুসা আশআরি (রা.)-এর নেতৃত্বে চারশত লোক উপস্থিত হয়। মুয়াবিয়া (রা.)-এর পক্ষ থেকে আমর বিন আস (রা.)-এর নেতৃত্বেও কিছু লোক থাকে। দীর্ঘ আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হয়, এখন যে অঞ্চল যার পরিচালনায় আছে, তা তারই তাত্ত্বাবধানে থাকবে।

চার. ৬৫ হিজরির এদিনে উমাইয়া সম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা মারওয়ান ইবনুল হাকাম (রহ.) ইন্তেকাল করেন।

পাঁচ. ৩৫০ হিজরিতে হাকাম বিন আবদুর রহমান নাসের আন্দালুসে উমাইয়া খলিফা হিসেবে শাসনভার গ্রহণ করেন।

ছয়. ১৩০৭ হিজরিতে শাদ অঞ্চলে ইসলামি সম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা রাবিহ বিন যুবাইর শহিদ হন। মধ্য আফ্রিকায় অবস্থিত শাদের রাজধানী ছিল ডেকো। ফরাসিরা বিশাল বাহিনী নিয়ে মধ্য আফ্রিকার দখল করে ডেকো পর্যন্ত পৌঁছে যায়। ওই সময় অন্যান্যদের সঙ্গে রাবিহ বিন যুবাইরও শহিদ হন।

সাত. ১৩৬৪ হিজরিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় সংখ্যালঘু শ্বেতাঙ্গরা কৃষাঙ্গদের বিরুদ্ধে বর্ণবৈষম্যমূলক নীতি (apartheid) ‘এপার্টহাইড’ চালু করে। ১৯৪৩ সাল থেকে শুরু হওয়া বর্ণবাদি এ নীতির ফলে শ্বেতাঙ্গরা সেখানে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে বিশেষ সুবিধা ভোগ করতে থাকে, যা ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।

‘মা হাদাসা ফি রমাদান…’ অবলম্বনে মুহাম্মাদ হেদায়াতুল্লাহ

শেয়ার করুন: