সেহরিতে ডেকে তোলার জন্য যুদ্ধবিমান!

রমজান মাসে এলাকায় এলাকায় মাইক দিয়ে, টিনের ড্রাম বাজিয়ে কিংবা চোঙ্গা ফুঁকে রোজাদারদের ঘুম থেকে সেহরির খাবার খেতে ডেকে তোলার রেওয়াজের সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। কিন্তু ভাবুন তো, এসবের বদলে যুদ্ধবিমানে তুমুল শব্দ তুলে মানুষকে ডাকা হচ্ছে সেহরি খাওয়ার জন্য!

না, আমাদের দেশে এ রকম করা না হলেও ইন্দোনেশিয়ার বিমানবাহিনী এটিই করতে চলেছে। গতকাল বুধবার ইন্দোনেশিয়ার ইংরেজি সংবাদমাধ্যম দ্য জাকার্তা পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে।

সম্প্রতি দেশটির বিমানবাহিনী জানায়, রমজান মাসে সেহরির সময় রোজাদারদের ডেকে তোলার যে রীতি দেশটিতে আছে, তাতে এবারে তারাও যোগ দিতে যাচ্ছে। বিমানবাহিনীর টুইটার অ্যাকাউন্টে করা এক পোস্টে জানানো হয়, সেহরির সময় দেশটির জাভা দ্বীপের সুরাবায়া, সুরাকার্তা, ক্লাতেন, স্রাজেন ও ইয়োগইয়াকার্তায় বিমানবাহিনী পাইলটদের প্রশিক্ষণ পরিচালনা করবে।

পোস্টে লেখা হয়, ‘আল্লাহ চায় তো আমরা রোজাদারদের রেওয়াজ অনুসারে সেহরির সময় ডেকে তুলতে যুদ্ধবিমান কাজে লাগাব।’

এ ব্যাপারে পৃথকভাবে বিমানবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল সুস এম ইয়ুরিস জানান, এ উদ্যোগ নিছকই সেহরিকালীন মুসল্লিদের ডাকার রেওয়াজের জন্যই নয়, বরং রোজা থাকা অবস্থায় পাইলটদের যাতে প্রশিক্ষণে অংশ নিতে না হয়, সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যুদ্ধবিমান উড্ডয়নের জন্য যথার্থ সময় হচ্ছে ভোর। দিনে অভুক্ত থাকলে বিশেষজ্ঞরা সাধারণত সকাল ১০টার পরে প্রশিক্ষণকে নিরুৎসাহিত করে। কেননা, এ সময় থেকেই অভুক্তদের সুগার লেভেল নেমে যেতে থাকে।

এ প্রসঙ্গ ধরে কর্নেল সুস বলেন, ‘ব্লাড সুগার লেভেল কম থাকা অবস্থায় পাইলটদের যুদ্ধবিমান চালানোর ব্যাপারে বাধানিষেধ আছে।’ এটি একই সঙ্গে ওই সময়ে পাইলটদের প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও রোজাদারদের সেহরির খাবার খেতে ডেকে তোলার জন্য হাতে নেওয়া হয়েছে বলেন তিনি।

এর অংশ হিসেবে আকাশের নিম্ন স্তরে উড্ডয়নে সক্ষম যুদ্ধবিমান ব্যবহার করা হবে। একই সঙ্গে যাতে মানুষকে জাগিয়ে তোলার জন্য যথেষ্ট শব্দ তৈরি হয়, সে জন্য গ্রহণ করা হবে বিশেষ যান্ত্রিক ব্যবস্থা।

শেয়ার করুন: