শসা

ইফতারে শসা খাওয়ার উপকারিতা

একে তো গরম তার সঙ্গে রোজা। এই দুইয়ে মিলে এখনকার সময়ে আমাদের পছন্দের একটি খাবার হলো শসা। এটা কতটা উপকারী আপনি জানেন? চলুন দেখে নিই শসা খাওয়ার উপকারিতা- শসা দেহের পানিশূন্যতা দূর করে। শসার মাল্টি ভিটামিনস ও মাল্টি মিনারেলস প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে এবং ভিটামিন ও মিনারেলসের অভাবজনিত সমস্যা থেকে রক্ষা করে।

দেহের ভেতর-বাইরের তাপ শোষণ করে। শসার পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এর ম্যাগনেসিয়াম রক্ত চলাচল সচল করে। শসার আঁশ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে।

Cucumbers; Image Source: gardenerspath.com

এটি মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে। শরীরের জমানো ক্ষতিকর ও বিষাক্ত উপাদানগুলো অপসারণ করে রক্তকে পরিষ্কার রাখে। শসা বুক জ্বলা, পাকস্থলীর এসিডিটি এমনকি গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি দিতে পারে। শসাতে পানি আছে শতকরা ৯৫ভাগ। এটি শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং শরীরের ভেতরের তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে। শরীর শীতল রাখতে সহায়তা করে।

সৌন্দর্য চর্চায়ও আপনার সঙ্গী হতে পারে শসা। ত্বকের নানাবিধ সমস্যা, চোখের চারপাশের ফোলাভাবসহ ত্বকের সকল প্রকার ক্লান্তি দূর করে ত্বককে প্রাণবন্ত করে তুলতে শসার ভূমিকা কম নয়।

জেনে নিন শসা খাওয়ার ১০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা: কথিত আছে যে সম্রাট টাইবেরিয়াস নাকি শসা খুব পছন্দ করতেন। শসাতে পানি আছে শতকরা ৯৫ভাগ। ফলে এটি শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে এবং ভেতরের তাপমাত্রা কে নিয়ন্ত্রণ করে দেহ শীতল রাখতে সহায়তা করে। শসায় ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম।

প্রতি ১০০ গ্রাম শসায় আছে মাত্র ১৫ ক্যালরি। এতে কোনো সম্পৃক্ত চর্বি বা কোলেস্টেরল নেই। সুতরাং বুঝতেই পারছেন যে ডায়েট করার ক্ষেত্রে শসা অসধারন বন্ধু হতে পারে আপনার। একনজরে শসার কিছু উপকারিতা

১. ফাইবার ও ফ্লুইডসমৃদ্ধ শসা শরীরে ফাইবার এবং পানির পরিমাণ বাড়ায়। পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফাইবার থাকার কারণে শসা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে। ২. শসায় রয়েছে স্টেরল নামের এক ধরনের উপাদান, যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এ ক্ষেত্রে মনে রাখা প্রয়োজন, শসার খোসায়ও স্টেরল থাকে।

৩. ওবেসিটি নিয়ন্ত্রণে শসা খুব উপকারী। ৪. কিডনি, ইউরিনারি, ব্লাডার, লিভার ও প্যানক্রিয়াসের সমস্যায় শসা বেশ সাহায্য করে থাকে। ৫. এরেপসিন নামক অ্যানজাইম থাকার কারণে শসা হজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা সমাধান করে থাকে।

৬. শসা বা শসার রস ডায়াবেটিস রোগীর জন্যও বেশ উপকারী। ৭. শসার রস আলসার, গ্যাস্ট্রাইটিস, অ্যাসিডিটির ক্ষেত্রেও উপকারী। ৮. মিনারেলসমৃদ্ধ শসা নখ ভালো রাখতে, দাঁত ও মাড়ির সমস্যায় সাহায্য করে।

৯. ডাক্তারের পরামর্শনুযায়ী শসার রস খেলে আর্থ্রাইটিস, অ্যাগজিমা, হার্ট ও ফুসফুসের সমস্যায় উপকার হতে পারে। ১০.গাজরের রসের সাথে শসার রস মিশিয়ে খেতে পারেন, ইউরিক অ্যাসিড থেকে ব্যথার সমস্যা হলে অনেক কাজে দেবে।

শেয়ার করুন: