পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে গেল ফেব্রুয়ারিতে কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার ঘটনার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে দুই দেশের পাল্টাপাল্টি বিমান হামলার মধ্যে পাকিস্তানের হাতে ভারতে বৈমানিক আটক হওয়ার পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।
সোমবার (৬ মে) ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, পাক সীমান্তে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সেনাবাহিনী তাদের কাছে এখন প্রায় ১ হাজার ৭০টি ট্যাঙ্ক রয়েছে। তাছাড়া আরও আছে ১২৪টি অর্জুন ও ২ হাজার ৪০০টি মডেলের টি-২৭ ট্যাঙ্ক।
তবে সম্প্রতি পাকিস্তান সীমান্তে রাশিয়ান প্রযুক্তিতে তৈরি ৪৬০টি ট্যাঙ্ক মোতায়েন করার ঘোষণা দিয়েছে ভারত। ফলেপরিস্থিতি আবার জটিল হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকরা।
ট্যাঙ্ক মোতায়েন ছাড়াও সীমান্ত এলাকায় যেসব সেনা জওয়ান অভিযানে আছেন তাদেরকেও উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
পাকিস্তানের আক্রমণ থেকে বাঁচতে বাঙ্কার তৈরি করা হচ্ছে বলেও এর আগে দেশটির গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়। ইতোমধ্যে কাশ্মীরের পুঞ্চ ও রাজৌরি জেলায় ৭ হাজার ২৯৮টি বাঙ্কার তৈরির কাজ শেষ হয়েছে৷ আরও ৭ হাজার ১৬২টি বাঙ্কার নির্মাণের কাজ চলছে।
এদিকে সীমান্তে বিরাট সেনাবাহিনী ও অস্ত্র মজুত করছে পাকিস্তান। শুধু তাই নয়। পাকিস্তানি বর্ডার অ্যাকশন টিম বা ব্যাটের সহযোগিতায় কাশ্মীরের নওগাম সেক্টরের নিয়ন্ত্রণরেখা পেরনোর চেষ্টাও করে পাক জওয়ানরা। কারও গায়ে পাক সেনার পোশাক।
কেউ আবার ভারতীয় সেনারইউনিফর্মে। এভাবেই ভারতীয় সেনাকে বোকা বানিয়ে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল পাক সেনার একটি বিশেষ দল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। বিএসএফ এবং সেনার গুলিতে সেই দলের দু’জনের মৃত্যু হল কাশ্মীরের নওগাম সেক্টরে।