লাল শাক ( Red amaramth) এটি একটি বর্ষজীবী গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Amaranthus oleraceus। লাল শাক সবার অনেক কাছে পরিচিত ও পুষ্টিকর শাক। এই শাক সারাবছর পাওয়া যায়। এই শাক খেতে খুবই সুস্বাদু। এর রং লাল এবং রান্নার পর এটি থেকে লাল রং বের হতে দেখা যায়। এই গাছ ৬ ইঞ্চি থেকে ১২ ইঞ্চি হয়। গাছের কান্ড থেকে ভেঙে নিয়ে আসার পর ভাঙা কান্ড হতে পুনরায় নতুন গাছ গজায়।
লালশাক কয়েক প্রকার জাতের হয়ে থাকে যেমন :আলতা পেটি ২০, রক্ত লাল, বারি লালশাক ১, ললিতা, রক্তরাঙ্গা, পিংকি কুইন, রক্তজবা ও স্থানীয় জাত। ভাদ্র-পৌষ পর্যন্ত লাল শাক বেশী চাষ করা হয়। এই শাক বেলে দোঁ-আশ থেকে এঁটেল দোঁ-আশ মাটি এবং যেখানে পানি জমে না এমন জমিই চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী।
বীজ বোনার ৩০ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে শাক খাওয়া যায়। এই শাক বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তর রংপুর ও দিনাজপুর এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার ও অাসামের গোয়ালপাড়া এলাকায় চাষ করা হয়। লাল শাকের মূল,পাতা, ডাল সবই ঔষধ হিসেবে কাজে লাগে।
পুষ্টিগুণ: লাল শাকে প্রচুর পরিমানে পুষ্টিগুণ রয়েছে। যার ফলে লাল শাক খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। কারন এতে রয়েছে প্রতি ১০০ গ্রাম লাল শাকে আছে ক্যালসিয়াম ৩৭৪ মি. গ্রা., শর্করা ৪.৯৬ মি. গ্রা., প্রোটিন ৫.৩৪ মি. গ্রা., স্নেহ ০.১৪ মি. গ্রা., ভিটামিন বি১ ০.১০ মি. গ্রা., ভিটামিন বি২ ০.১৩ মি. গ্রা., ভিটামিন সি ৪২.৯০ মি. গ্রা., ক্যারোটিন ১১.৯৪ মি. গ্রা., অন্যান্য খনিজ ১.০৬ মি. গ্রা., খাদ্য শক্তি ৪৩ কিলোক্যালরি।
উপকারিতা: ১। লাল শাকে রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্ট যা ক্যান্সার প্রতিরোধ সাহায্যে করে। ২। লাল শাক খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমপ্রেস যায়। ৩। প্রতিদিন লাল শাক খেলে মস্তিষ্ক ভালো থাকে। ৪। প্রতিদিন সকালে লাল শাক পানিতে সেদ্ধ করে সেই পানি খেলে কিডনি সমস্যা দূর হয়। ৫। লাল শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধির করতে সাহায্য করে ৬। লাল শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আয়রন। যার ফলে লাল শাক খেলে শরীরে রক্তের ঘাটতি পূরন হয়। ৭। দাঁত ও হাড় মজবুত রাখতে লাল শাক অনেক উপকারী।