বকুল গাছ

বকুল ফুলের উপকারিতা

বকুল গাছ আমাদের সকলের কাছে অনেক পরিচিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম Mimusops elengi। এটি Sapotaceae পরিবারের অন্তভূক্ত। বকুল ফুল আমাদের সবার কাছে অনেক পরিচিত। গ্রীষ্মকাল থেকে শরৎকাল পর্যন্ত এই গাছে সুমিষ্ট ফুল ফুটে থাকে৷ ফল হয় ছোট ছোট। পাকলে হলুদ বর্ণ ধারন করে। গাছের ডাল ও পাতা ভাঙলে তা থেকে আটা বের হয়।

বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গায় এর গাছ পাওয়া যায়। বকুল ফুল, ফল, পাকা ফল, পাতা, গাছের ছাল, কাণ্ড, কাঠ সব কিছুই কাজে লাগে। এটি মাঝারি আকারের গাছ এবং এর পাতা গুলি হয় ঢেউ খেলানো। ফুল গুলো খুব ছোট হয়। বড় জোড় ১ সেঃ মিঃ। ফুল গুলো দেখতে ছোট ছোট তারার মতো। বকুল ফুলের সুবাসে থাকে মিষ্টি গন্ধ। এটি ১৬ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। এই গাছ বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও উত্তর অস্ট্রেলিয়ার গ্রীষ্মমন্ডলীয় বনাঞ্চলে জন্মে। বকুল ফুল, ফল, পাতা, কাণ্ড দিয়ে বিভিন্ন অসুখ নিরাময়ের নানারকম আয়ুর্বেদিক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

উপকারিতা: ১। বকুল ছালের ক্বাথ তৈরি করে তাতে বকুল বীচি ঘষে শ্বেতীতে প্রলেপ দিলে শ্বেতী ভালো হয়। ২। বকুলের পাকা ফলের শাঁস খেলে আমাশয় ভালো হয়। ৩। বকুল বীচি চূর্ণ মধুর সঙ্গে খেলে শুক্রতারল্যে ভালো হয়। ৪। বকুল গাছের ছাল সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে কুলকুচি করলে দাঁতের গোড়া শক্ত হয়। ৫। বকুলের বীচি চন্দন বাটায় ঘসে দংশিত স্থানে লাগালে সঙ্গে সঙ্গে জ্বালা যন্ত্রণা কমে যায়।

শেয়ার করুন: