আসফউদ্দৌলা রেজা
আসফউদ্দৌলা রেজা ও স্ত্রী হোসাইনা আখতার জোয়ার্দার লতা

স্মরণ: আসফউদ্দৌলা রেজা

প্রখ্যাত সাংবাদিক ও সাহিত্যিক আসফউদ্দৌলা রেজার জন্ম ধানকুণ্ডী গ্রাম, শেরপুর, বগুড়ায় ১৯২৬ সালে। জমিদার পরিবারে তার জন্ম। পিতার নাম মোহাম্মদ আসগর হোসেন সরকার, মাতা ফেরদৌসমহল সিরাজী। পুরো নাম রেজাউল মোস্তফা মুহম্মদ আসফউদ্দৌলা। শৈশবে মাতামহ ও বিখ্যাত কবি, লেখক, স্বাধীনতা সংগ্রামী সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজীর কাছে প্রতিপালিত হয়েছিলেন।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

১৯৪৩ সালে চান্দাইকোনা হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করে কিছুকাল পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে অধ্যয়ন করেন। অতঃপর কলকাতার ইসলামিয়া কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট এবং ১৯৪৭ সালে একই কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসে এমএ অধ্যয়নকালে পিতার সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পড়াশোনা ত্যাগ করতে বাধ্য হন।

১৯৫১ সালে কিছু দিনের জন্য চান্দাইকোনা হাইস্কুলে শিক্ষকতাও করেন। একই বছর যোগ দেন দৈনিক আজাদ পত্রিকায় সহসম্পাদক হিসেবে। সে সময় ঢাকার শতাব্দী প্রাচীন পত্রিকা ‘ঢাকা প্রকাশ’-এর সাথেও যুক্ত হন। ‘মখদুমী অ্যান্ড আহসানউল্লাহ পাবলিকেশন্স’ ও ‘মডার্ন পাবলিকেশন্স’-এর সাথেও জড়িত ছিলেন। ‘দৈনিক আজাদ’ ত্যাগ করে কিছুকাল ‘দৈনিক সংবাদে’ সাংবাদিকতা করেছেন।

১৯৫৪ সালে ‘দৈনিক ইত্তেফাক’ পত্রিকার সহকারী বার্তা সম্পাদক পদে যোগ দেন। ১৯৭০ সালে এর বার্তা সম্পাদক পদে উন্নীত এবং ১৯৭২ সালে ওই পত্রিকার যুগপৎ বার্তা ও কার্যনির্বাহী সম্পাদক পদে আসীন হন। অভিযোগ নামে উপন্যাস রচনা ছাড়াও প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, সোভিয়েত মতবাদ, রাজনীতি ও সরকার, নিরস্ত্র সংগ্রাম প্রভৃতি গ্রন্থ তিনি অনুবাদ করেছেন। তিনি বিশিষ্ট বেতার ব্যক্তিত্ব ছিলেন।

ঢাকা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত প্রথমে ‘আমার দেশ’ (১৯৫১), পরে ‘বুনিয়াদি গণতন্ত্রের আসর’ (১৯৬০) নামের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছেন প্রায় দুই দশক। দক্ষ, নির্ভীক ও নিষ্ঠাবান সাংবাদিক হিসেবে প্রভূত খ্যাতি অর্জন করেন। মৃত্যু ঢাকা, ১৪-২-১৯৮৩ সালে।

শেয়ার করুন: