ইসলামী বিধানে দাড়ি রাখার গুরুত্ব কী এবং একজন মুসলিম ইচ্ছে করলে কি দাড়ি নাও রাখতে পারেন? না রাখলে তার ফলাফল কী হবে বা কী রকম গুনাহ হতে পারে?
ইসলাম বিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’য় দর্শকের এক প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, সমস্ত ওলামায়ে কেরামের মতে, দাড়ি রাখাকে শায়ার (ইসলামের নিদর্শনগুলোর মধ্যে একটা) বলা হয়েছে। যদিও ইসলাম এ ব্যাপারে শুধু একক নয়। কিন্তু তার পরও ইসলামের অন্যতম শায়ার হচ্ছে দাড়ি রাখা।
দ্বিতীয়ত এ বিষয়ে শাইখুল ইসলাম তাইয়ুমা (রহ.), এর আগে আবু মোহাম্মদ এরা সবাই এবং সমস্ত ওলামায়ে কেরামগণ এ বিষয়ে মতৈক্য প্রকাশ করেছেন যে, দাড়ি রাখার বিধান হচ্ছে ইসলামে ওয়াজিব এবং বাধ্যতামূলক।
আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর অসংখ্য হাদিসের মাধ্যমে এটি প্রমাণিত হয়েছে। সুন্নাহ তিরমিজি, সুন্নাহ আবু দাউদের মধ্যে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ওয়ারখুল্লাহা’ অর্থাৎ তোমরা দাড়িকে ছেড়ে দাও।
কোনো কোনো রেওয়াতের মধ্যে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ওয়ারখুল্লাহা’ অর্থাৎ ‘দাড়িকে তোমরা ছেড়ে দাও’।
এভাবে বিভিন্ন শব্দে রাসুল (সা.) এ বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন।
রাসুল (সা.) নিজে দাড়ি রেখেছেন, সাহাবিরা দাড়ি রেখেছেন এবং অপছন্দ করেছেন তাদের, যারা দাড়ি রাখেননি। এ জন্য দাড়ি রাখার বিষয়টি ইসলামের মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটাকে আমরা আসলে বিভিন্ন কারণে সাধারণ বা হালকা মনে করে নিয়েছি।
মুসলমানদের মধ্যে ইসলামের যে ঐতিহ্য ও সৌন্দর্য, সেগুলো আমরা আস্তে আস্তে ভুলে যাচ্ছি এবং অমুসলিমদের সঙ্গে সেগুলোকে আমরা মিলিয়ে ফেলছি। বিশেষ করে দাড়ি কামানোর দৃষ্টিভঙ্গিটি।
কেউ দাড়ি না রাখলে তিনি গুনাহগার হবেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
bdview24.com Bangla News from Bangladesh regarding politics, business, lifestyle, culture, sports, crime. bdview24 send you all Bangla News through the day.