নির্বাচনের জন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের নিজেদের কোনো টাকাই খরচ করতে হচ্ছে না। নির্বাচনের সমস্ত ব্যয়ভার বহন করবে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। গত বৃহস্পতিবার রাতে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, ঐক্যফ্রন্টের সিনিয়র নেতারা যে নির্বাচন করবে সে খরচ বিএনপির তহবিল থেকে বহন করা হবে। এদের মধ্যে রয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন, জেএসডি সভাপতি আ.স.ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, আইনজীবী ব্যরিস্টার মইনুল হোসেন, কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দীকীসহ ঐক্যফ্রন্টের মূল নেতারা।
একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, প্রায় ২০০ কোটি টাকা ঐক্যফ্রন্টের জন্য বাজেট হিসেবে রেখেছেন তারেক জিয়া। ঐক্যফ্রন্ট যেন কোনোভাবেই পরে নির্বাচন থেকে সরে না যায় বা সরকারের সঙ্গে সমঝোতা না করে সে ব্যাপারে খেয়াল রাখার জন্য তারেক সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এবারের নির্বাচন করতে ড. কামাল হোসেন অনাগ্রহী ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, নির্বাচনের ব্যয়ভার বহন করার মতো আর্থিক অবস্থা তাঁর নেই।
একই রকম ভাবে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাও বলেছিলেন এত দ্রুত নির্বাচন হওয়ায় স্বল্প সময়ের মধ্যে তিনি টাকা যোগাড় করতে পারবেন না। তারেক জিয়াকে আড়াল করার জন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে সামনে আনা হয়েছে। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হচ্ছিল, তারেক জিয়া একজন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজ হিসেবে পরিচিত।
তাঁর নেতৃত্বে বিএনপি নির্বাচনে গেলে বিএনপির ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে। সে কারণেই ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে সামনে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারেক জিয়াই নেপথ্যে থেকে নির্বাচনের সমস্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এই প্রেক্ষাপটে এবারের নির্বাচনে যারা বিএনপিকে সহযোগিতা করছে, তাদেরকে তারেক জিয়া ‘নতুন বন্ধু’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তাই, নতুন এই বন্ধুদের নির্বাচনী ব্যয় হিসেবে তিনি ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছেন বলে জানা গেছে।
বিভিন্ন সূত্র মনে করছে, ঐক্যফ্রন্টের সিনিয়র যেসব নেতারা ঢাকায় নির্বাচন করবেন, সেটি হবে ব্যয়বহুল নির্বাচন। এই ব্যয়বহুল নির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে সকল টাকা-পয়সা খরচ করা হবে।