একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত দলের জোট থাকলেও নির্বাচন কমিশনে অভিন্ন প্রতীকে ভোট করতে আবেদন করা হয়েছে শুধু ‘নৌকা ও ধানের শীষ’ প্রতীক নিয়ে। বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) জোটভুক্ত হয়ে অভিন্ন প্রতীকে ভোট করার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে জানানোর সময় শেষ হলো।
পরে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, অভিন্ন প্রতীক ব্যবহারে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জোটের শরিকদের তালিকা আগেই দিয়েছে। দলগুলো আলাদা আলাদা চিঠিও দিয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টও তালিকা দিয়েছে। আইনে যেভাবে রয়েছে তারা সেভাবে প্রতীক পাবে। জাতীয় পার্টি জোটভুক্ত হয়ে লাঙ্গল প্রতীক ব্যবহার নিয়ে কোনো আবেদন ছিল না বলে জানান তিনি।
শেষদিনে যারা জোটভুক্ত হয়ে অভিন্ন প্রতীকে ভোটের জন্য ইসিকে চিঠি দেয় নি তাদের প্রার্থীরা নিজস্ব প্রতীকে ভোট করবে। এবার নির্বাচন কমিশনে ৩৯টি দল নিবন্ধিত রয়েছে। এরমধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নৌকা-ধানের শীষ প্রতীকে অন্তত ১৮টি দল ভোট করার জন্যে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করেছে। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ বলছে, তাদের শরিকরা নৌকা প্রতীকে ভোট করবে।
নৌকা প্রতীকে ভোটে আগ্রহীদের মধ্যে রয়েছে- আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টি, জাসদ, গণতন্ত্রী পার্টি, সাম্যবাদী দল, জেপি, তরিকত ফেডারেশন, ন্যাপ। যুক্তফ্রন্টের বিকল্পধারাও নৌকা প্রতীকে করার বিষয়ে চিঠি দিয়েছে বৃহস্পতিবার। বিকল্পধারা বাংলাদেশ জানিয়েছে, ১৪ দলের সঙ্গে মহাজোট সম্প্রসারণ বিষয়ে আলোচনা এখনও চলছে। মাহাজোটে অংশ নিলে যুক্তফ্রন্ট ও বিকল্পধারার কিছু প্রার্থী ক্ষেত্র বিশেষে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবে।
অনিবন্ধিত দলের ভোটে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই। জোট সম্প্রসারণ হলে অনিবন্ধিত দলের প্রার্থীরা দলীয় প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগের হয়ে করতে হবে। বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক ব্যবহারের আগ্রহী হচ্ছে- বিএনপি, কল্যাণ পর্টি, এলডিপি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত মজলিশ, বিজেপি, জাগপা, ও বাংলাদেশ মুসলীম লীগ।
বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে থাকা গণফোরাম, জেএসডি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রতীক ‘ধানের শীষ’ প্রতীক ব্যবহারের কথা জানিয়েছে। নির্বাচন কমিশনে এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়ার পর গণফোরামের কায্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, ঐক্যফ্রন্টভুক্ত অনিবন্ধিত দলের প্রার্থীদের ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে ভোটার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ নিয়ে করণীয় পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হবে দলীয় ফোরামে।
সেক্ষেত্রে নাগরিক ঐক্য, ঐক্যপ্রক্রিয়ার কেউ প্রার্থী হলে তাকে বিএনপির হয়েই ভোট করতে হবে। জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোটভুক্ত থাকলেও লাঙ্গলে ভোট না করে নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছে, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ। বামদলগুলোর জোট থাকলে কেউ নির্বাচন কমিশনে জোটভুক্ত প্রতীক ব্যবহার নিয়ে আবেদন করে নি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৩০ ডিসেম্বর ভোট হবে।