এরশাদ

প্রধানমন্ত্রীকে ‘বোন’ সম্বোধন করে দাওয়াত দিলেন এরশাদ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বোন সম্বোধন করে নিজ বাসভবনে দাওয়াত দিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সোমবার আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্মিলিত জাতীয় জোটের সংলাপে তিনি এ দাওয়াত দেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হওয়া সংলাপে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আট দফা প্রস্তাবনা পেশ করেন এরশাদ। এ সময় সম্মিলিত জাতীয় জোটের চেয়ারম্যান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কাছে আমার অনেক ঋণ। তার জন্য আমি দেশের সেনাবাহিনীর প্রধান হতে পেরেছি, দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছি। বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতির পিতা। তাই শেখ হাসিনা আপনি আমার বোন।

শেখ হাসিনাকে বোন সম্বোধন করে এরশাদ বলেন, আজ আমি শুধু একজন প্রধানমন্ত্রীর কাছে আসিনি। রাজনৈতিক সম্পর্ককে এক পাশে রেখে আমি আমার বোনের কাছেও এসেছি। সেই দৃষ্টিকোণ থেকেও আগামী দিনে ভাইয়ের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে আপনি বিবেচনা করবেন। এ সময় এরশাদ প্রধানমন্ত্রীকে দাওয়াত দিতে গিয়ে বলেন, ভাই হিসেবে আমি বোনকেও আমন্ত্রণ জানাই, একদিন আসুন আমার বাসভবনে। দেখে আসবেন আপনার ভাই কোথায় থাকেন। আপনার সুবিধা মতো সময়ে কোনো এক মধ্যাহ্নে কিংবা নৈশভোজে আসুন আমার বাসায়।

সরকারের উন্নয়নের প্রশংসা করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, এক নাগাড়ে ১০টি বছর সফলভাবে দেশ পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। এই সময়ের মধ্যে দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে, দেশ যেভাবে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে গেছে তার একক কৃতিত্ব আপনারই। বিরোধী দল হিসেবে নিজ দলের ভূমিকা প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, আমরাও আপনাকে সহযোগিতার চেষ্টা করেছি। আমরা দেশের জনগণের পক্ষে দাবি-দাওয়া নিয়ে রাজপথে নেমেছি, সভা-সমাবেশ করেছি। কিন্তু তা ছিলো নিয়মতান্ত্রিক, সু-শৃঙ্খল এবং শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। আমরা সংসদে সরকারের সমালোচনা করেছি, কিন্তু তা ছিলো গঠনমূলক।

ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপকে প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী, আপনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বা জোটকে সংলাপে ডেকেছেন। যারা আপনার মুখের সামনে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন, তাদেরও ডেকেছিলেন। এটা আপনার মহানুভবতা। সংলাপে সাত দফার সমালোচনা করেন এরশাদ। শর্ত থাকলে সংলাপ সফল হতে পারে না। প্রথম সংলাপে যে ৭ দফা দাবি উত্থাপিত হয়েছে তা সাংবিধানিক আওতার মধ্যেও যেমন নেই, তেমনি আইনের মধ্যেও পড়েনা বলেও মন্তব্য করেন জাপা চেয়ারম্যান।

শেয়ার করুন: