বাঙ্গালির প্রধান খাবার ভাত। এই খাবারের মাধ্যমে কেবল বাঙ্গালির পেটই ভরে না বরং পুষ্টি চাহিদাও পূরণ হয়। এ কারণে উপমহাদেশের অধিকাংশ মানুষ এ খাবারকে বেছে নিয়েছেন। যাদের প্রধান খাবার ভাত তাদের অনেকেই হয়ত জানেন না, কোন চালের ভাতে পুষ্টিগুণ কতটুকু? চাল ভেদে জিংক ও পুষ্টিগুণ আলাদা হয়ে থাকে। মানুষের পুষ্টিচাহিদা পূরণে প্রতি কেজি চালে ১২ পিপিএম জিংক থাকা প্রয়োজন।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংস্থা হারভেস্টপ্লাসের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, বাংলাদেশে কেবল এক জাতের চালেই রয়েছে প্রয়োজনীয় জিংক ও পুষ্টিগুণ। আর সেটি নাজিরশাইল চালে। প্রতি কেজি নাজিরশাইল চালে ১২ দশমিক ৯২ পিপিএম। এর পরই কাটারিতে ১১ দশমিক ৩৯ পিপিএম, স্বর্ণায় ৮ দশমিক ৯ পিপিএম, মিনিকেট চালে ৬ দশমিক ৩৬ পিপিএমবাংলামতিতে ৭ দশমিক ৬২, ব্রি ধান ২৮ চালে ৯ দশমিক ৬৮ এবং অন্যান্য চালে ১০ দশমিক শূন্য ৪ পিপিএম মাত্রায় জিংক পাওয়া গেছে। গবেষণাটি পরিচালনার জন্য নাজিরশাইলের ১২, কাটারির ১৬, স্বর্ণার ১৭, বাংলামতির ১৬, ব্রি ধান ২৮ জাতের ২৩, মিনিকেট চালের ৩০ এবং অন্যান্য চালের ২১টি স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়। এসব স্যাম্পল পরীক্ষা করে জিংকের পরিমাণ নির্ণয় করেছে হারভেস্টপ্লাস।
এ প্রসঙ্গে আলাপকালে হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার ড. মো. খায়রুল বাশার জানান, বাংলাদেশের মানুষ জিংক স্বল্পতা ও পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। বিশেষ করে শিশুরা। আমাদের গবেষণায় উঠে এসছে, পাঁচ বছরের নিচের বয়সী ৪১ শতাংশ শিশু মারত্মকভাবে জিংক স্বল্পতায় ভুগছে। এ ভয়াবহ স্বাস্থ্যসংকট থেকে উত্তোরণে জিংকসমৃদ্ধ জাত উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ ছাড়া দেশে পুষ্টিনিরাপত্তা হুমকিতে পড়তে পারে বলেও সতর্ক করেন তিনি।