নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধিদলের বৈঠক শেষ হয়েছে। তফসিল ঘোষণার তারিখ পেছানোর দাবি নিয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার (৫ নভেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়। সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে এ বৈঠক শেষে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা আ স ম আবদুর রব সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। ব্রিফিংয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যা আলাপে যা হয়েছে-
১.কেন্দ্রে পুলিং এজেন্টরা যাতে সাহসিকতার সঙ্গে কেন্দ্রে থাকতে পারেন, নির্বাচন পর্যন্ত থাকতে পারেন, এজেন্ট যেন দিতে পারেন এবং এজেন্টদের যেন বের করে না দেয়া হয় সেজন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবেন।
২. অন্যান্যবার নির্বাচনের পর ফলাফল ঘোষণার যে নীতিমালা আছে, এজেন্টদের কাছে কাগজে সিল দিয়ে, পুলিং অফিসার তারা যেভাবে স্বাক্ষর করে সিল মেরে রেজাল্ট ঘোষণা করেন সেভাবে রেজাল্ট তৃণমূল পর্যন্ত পুলিংকে দিতে হবে। এটা নিশ্চয়তা করেছেন। এটা দিবেন। ৩. নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর টপ ফর্মের স্বাক্ষরিত ফলাফল প্রত্যেক দলের এজেন্টদের কাছে প্রদান করতে হবে।
৪.ফলাফল ঘোষণা শুরু হওয়ার পর সাদা কাগজে কোনো স্বাক্ষর নেয়া যাবে না। এটাও নিশ্চিত করেছেন। এসময় আবদুর রব বলেন, ‘নির্বাচন, অবাধ ও সুষ্ঠু যেন হতে পারে। সে ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন আমাদের বার বার নিশ্চয়তা দিয়েছেন। যারা সাধারণ ভোটার, আমরাও তেমন। আমাদের পরিবারও দেশে থাকবে নির্বাচনের পরেও। ২০১৯ সালের পরও আমাদের নির্বাচন কমিশনের আমাদের সঙ্গে দেশে থাকতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘শিডিউলের কথা বলেছি এবং ইভিএমের ব্যাপারে বলেছি। আমরা বলেছি, ইভিএম দেশের মানুষ চায় না, আমরা চাই না, রাজনৈতিক দল চায় না। আর নির্বাচন কমিশন ইভিএম নিয়ে কম ভাববেন। তারা এ ব্যাপারে যুক্তি তর্ক দেখিয়েছেন, কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেন নি। এছাড়া সেনাবাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশন বলেছেন, ‘সেনাবাহিনী থাকবে না? অতীতের সব নির্বাচন সেনাবাহিনী ছিল। তিনি বলেন নি থাকবেন না। তারা তো হ্যা বা না কোনোটাই বলেন নাই।’ বলেন আবদুর রব।