প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনাকে ঘিরে বিভক্ত হেফাজতে ইসলাম

কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা এবং ‘শুকরানা মাহফিলকে’ কেন্দ্র করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশে মতভেদ দেখা দিয়েছে।

যদিও আল্লামা আহমদ শফী অনুসারী হেফাজতে ইসলামের বিশাল অংশ আগামীকালকের ‘শুকরানা মাহফিল’ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সফল করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

লাখো মানুষের সমাগম করে মাহফিল সফল করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফের ১৩ দফা দাবি উত্থাপনেরও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব ও আল হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের নেতা মুফতি মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ বলেন, কওমি আলেমদের সবাই তো হাইয়াতুল উলয়ার সদস্য নয়। তাই শুকরানা মাহফিলে সবার আসার কথাও না। যারা এ অনুষ্ঠানের বিরোধিতা করছেন তারা না আসাটাই স্বাভাবিক।

প্রসঙ্গত, ১৩ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ২০১৩ সালে মাঠে নামে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। একই বছরের ৫ মে ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করে এ সংগঠন।

কিন্তু পুলিশের অভিযানের মুখে তারা পিছু হটার পর সরকারের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে। এরপর কওমি মাদ্রাসাকে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়াসহ সরকারের নানা আন্তরিক পদক্ষেপে কমতে থাকে দূরত্ব।

এরই মধ্যে আল হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে সংবর্ধনা দেওয়ার উদ্যোগ নেয়।

আগামীকাল ৪ নভেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনে এই সংবর্ধনা দেওয়ার কথা। ফের উত্থাপিত হবে ১৩ দফা : আল হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের আগামীকালকের শুকরানা মাহফিল ও প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ফের উত্থাপিত হবে হেফাজতে ইসলামের আলোচিত ১৩ দফা দাবি। এ অনুষ্ঠানে লাখো মানুষের সমাগম ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফের দাবি পূরণের আহ্বান জানানোর পরিকল্পনা রয়েছে হেফাজতে ইসলাম নেতাদের।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক হেফাজতে ইসলামের নেতা বলেন, ৪ নভেম্বরের প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ৩০ জন নেতা বক্তব্য রাখবেন। তারা অভিন্ন সুরে ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করবেন।

শেয়ার করুন: