হরমোনকে ইনজেকশন

একদিন আমরা মশা-মাছির মতো মরে যাব!

এ এক মারণখেলা। তাঁরা খেলছেন আর আমরা হচ্ছি ভুক্তভোগী। কত সহজেই তাঁরা বলেন এসব অপকর্মের কথা। কত সহজে বলেন তাঁরা আমাদের প্রতিদিনের খাবারে বিষ মেশাচ্ছেন। আমাদের প্রতিদিনকার খাদ্যতালিকায় থাকা নানা সবজিতে হরহামেশাই ব্যবহার করা হচ্ছে অক্সিটোসিন। শুনতে অবাক লাগলেও অক্সিটোসিন বা ভালোবাসার হরমোনকে ইনজেকশনের মাধ্যমে পুশ করা হচ্ছে সবজিতে। আর স্প্রেয়ারের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে সিলিকন। এতে না-কি সবজি দেখতে বড় ও ফ্রেশ লাগে।

সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে এমন একটি ভয়ংকর বিষয় দেখা গেছে। স্টিভ নামে এক ব্যক্তি এই ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, একদিন আমরা মাছির মতো মরে যাব। ধারণা করা হচ্ছে ঘটনাটি ভারতের। তবে, নিশ্চিত হওয়া না গেলেও এমনটা যে ঘটছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে কীভাবে নানা রাসায়নিক প্রয়োগ করা হচ্ছে ফল ও সবজিতে। এক ব্যক্তি এর বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, এসব ওষুধ খুব সহজেই মেলে, ওষুধের দোকানে পাওয়া যায়।

সবজিতে এসব ওষুধ রাতে ইনজেকশনের মাধ্যমে পুশ করা হয় আর সকালে এগুলো হয়ে ওঠে বড় আর সতেজ। এরপর একটি স্প্রের বোতল দেখিয়ে ওই ব্যক্তি বলেন, এই স্প্রে সবজিতে ব্যবহার করা হয়, এতে সবজি দারুণ তাজা হয়ে ওঠে। বাসি সবজিতে লাগালেও তা দেখতে হয় সতেজ আর ঝলমলে। তিনি আরো বলেন, কৃষকরা সবজি রং করেন। এবং এতে ব্যবহার করেন ‘ম্যালাচিট গ্রিন’ নামে একটি রাসায়নিক যৌগ, যা সাধারণত রেশমি কাপড়, কাগজ ও চামড়াজাত পণ্য রং করতে ব্যবহৃত হয়।

যাঁরা এসব করছেন, তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে (ওই ব্যক্তির বয়ানে), তাঁরা প্রায় দীর্ঘ আট থেকে ১০ বছর যাবৎ এসব করছেন। এসব কাজে তাঁদের স্ত্রীরা তাদের সাহায্য করছেন। এভাবেই তাঁরা তাদের সন্তানদের ভরণপোষণ করছেন এবং জীবন ও জীবিকা নির্বাহ করছেন। এমন আর একটি ভিডিওতে একজন কৃষককে বলতে শোনা গেছে, আমরা তাজা, খামারজাত ও কোনো প্রকার রাসায়নিক ব্যবহার ছাড়া সবজি নিয়ে বাজারে যাই, ক্রেতারা বলেন, ওগুলো ভালো না।

এরপর আমরা যখন স্প্রে করা সবজি নিয়ে ক্রেতাদের সামনে হাজির হই, তারা সেগুলো দেখে বলে ওগুলো ভালো এবং তারা উৎসাহ নিয়ে ওই স্প্রে করা সবজিগুলো কিনে নিয়ে যায়। আর তাই, আমি এর মধ্যে দোষের কিছু দেখি না। উল্লেখ্য, শরীরে অতিমাত্রায় অক্সিটোসিনের প্রয়োগ মানসিক ভারসাম্যহীনতা আনতে পারে বা কারণ হতে পারে আরো অনেক বড় ধরনের মানসিক সমস্যার। আর সবজি রং করতে যে রং ব্যবহার করা হচ্ছে তা কিডনি ও লিভারের নানা জটিল ও কঠিন রোগের কারণ হতে পারে। সূত্র : ইন দ্য নাও

শেয়ার করুন: