শেখ হাসিনা
ফাইল ছবি: শেখ হাসিনা

ড. কামালের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ৫ প্রশ্ন

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের মধ্যকার বহুল আলোচিত সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে আর কয়েক ঘণ্টা পরেই। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। সংলাপে ড. কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এবং প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ১৪ দলের নেতৃত্ব দেবেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে ড. কামাল হোসেনসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কয়েকটি প্রশ্ন আছে। আলোচনার এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের উদ্দেশ্যে ৫টি প্রশ্ন ছুড়ে দিবেন। প্রশ্নগুলো হলো:

১। আপনাদের ৭ দফার মধ্যে কোথাও কালো টাকার দৌরাত্ম্য, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা নেই। আপনারা কি দুর্নীতিমুক্ত নির্বাচন করতে চান কিনা?

২। আপনারা কি চান, আদালত কর্তৃক স্বীকৃত ও চিহ্নিত দুর্নীতিবাজরা রাজনীতি করতে পারুক? এ ব্যাপারে আপনাদের অবস্থান কী? যারা সন্ত্রাসী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাষ্ট্রীয় মদদে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ধ্বংস করতে চায়, প্রতিপক্ষ রাজনীতিবিদদের হত্যা করে প্রতিপক্ষকে দমন করতে চায় তাঁদের ব্যাপারেই বা আপনাদের অবস্থান কী?

৩। বিশ্বের সকল দেশে যে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি আছে সেই রীতিনীতির বাইরে গিয়ে বাংলাদেশে কেন অন্য ধরনের গণতন্ত্রের চর্চা হবে? ঐক্যফ্রন্ট আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন ’৭২ এর সংবিধানের প্রণেতা। ’৭২ এর সংবিধানে নির্বাচনের পদ্ধতি কী ছিল? ৪। নির্বাচন কমিশনকে আরও শক্তিশালী করার জন্য আপনাদের কাছে কী কী প্রস্তাব রয়েছে?

৫। গত ১০ বছরে বাংলাদেশের যে অগ্রগতি ও উন্নয়ন হয়েছে সে অগ্রগতি ও উন্নয়নকে আপনারা স্বীকার করেন কিনা? আপনারা কি মনে করেন, যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে থেকে রাজনীতি করা উচিত?

অর্থাৎ এই সংলাপটি শুধু যে ১৪ দলের জবাবদিহিতার জায়গা হবে তা নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও রাজনৈতিক শিষ্টাচার, রাজনৈতিক আদর্শ, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও কালো টাকা মুক্ত রাজনীতির ব্যাপারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ভূমিকা, নীতি এবং অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইবেন।

প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রী মনে করেন যারাই রাজনীতি করুক না কেন, সবাইকেই সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করার ব্যাপারে ঐক্যমত্যে পৌঁছাতে হবে। রাজনীতিতে একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখার জন্যই এই ঐক্যমত প্রয়োজন বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেয়ার করুন: