জিন্স প্যান্টের সামনে ক্ষুদ্র পকেট
জিন্সের প্যান্টে অতিরিক্ত বোতাম;

নতুন জিন্স বছরের পর বছর কী ভাবে নতুন রাখবেন?

নারী হোন বা পুরুষ, জিন্সের জনপ্রিয়তা সর্বত্রই। কেবল ফ্যাশনের জন্যই নয়, অনেকেই জিন্স পছন্দ করেন কম যত্নেও দীর্ঘ দিন টিকে থাকে বলে। কিন্তু কম যত্ন নেওয়া আর একেবারেই যত্ন না নেওয়ার মধ্যে ফারাকটা বেশির ভাগ সময়ে গুলিয়ে ফেলি আমরা। তাই বুঝে উঠতে পারি না, ঠিক কী কী উপায়ে জিন্সের যত্ন নেওয়া সম্ভব। কয়েকটা পদ্ধতি অবলম্বন করলেই কিন্তু নতুন জিন্সের প্যান্ট বছরের পর বছর সুন্দর ও নতুনের মতোই থাকতে পারে। জানেন সে সব কী কী?

এক. কাচার আগে উল্টে নিন জিন্স।এতে সরাসরি সাবানের সংস্পর্শে এসে নষ্ট হয় না জিন্সের রং। রোদের হাত থেকে রং বাঁচাতে শুকোতেও দিন উল্টো করে।

দুই. জিন্স ভালো রাখতে তা কখনওই ওয়াশিং মেশিনে কাচবেন না। অনেকের মধ্যেই এই প্রবণতা দেখা যায়। ওয়াশিং মেশিনের কেন্দ্রাতিক শক্তি জিন্স-কাপড়ের সুতোর ক্ষতি করে। বরং ভালো ডিটারজেন্টে ডুবিয়ে হাতেই কাচুন জিন্স।

তিন. অনেক সময়ই জিন্সে লাগা কোনও দাগ উঠতে চায় না সহজে। এমন হলে পানির সঙ্গে একটু লেবুর রস ও বেকিং সোডা মিশিয়ে সেই মিশ্রণ পুরনো টুথব্রাশের সাহায্যে ঘষুন দাগের জায়গায়। তার পর তা কাচুন ডিটারজেন্ট দিয়ে। এতে সহজেই উঠবে দাগছোপ।

চার. তেলের দাগ কিন্তু এভাবে উঠবে না। তার জন্য বেবি পাউডার মাখান দাগের ওপর। ওভাবেই রেখে দিন অনেকক্ষণ। তারপর কাচুন ডিটারজেন্ট দিয়ে। পাউডার শুষে নেবে তেলের দাগ।

পাঁচ. জিন্সের ভাঁজ, কাপড় সব ভালো রাখতে কাচার পরেই ইস্ত্রি করুন। একই জিন্স চার দিন পরা হলেই তা কেচে নিন, অনেকেই মাসের পর মাস জিন্স কাচেন না। এই অভ্যাসের জন্য জিন্স কাপড়ের খুব ক্ষতি হয়।

শেয়ার করুন: