হলো এক গাদা রেকর্ড, তবু রইলো ৫ রানের আক্ষেপ

২৮৭ রান টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ভূল লেগ বিফরের ফাঁদে পড়ে আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন লিটন। রিভিউ নিলে বেঁচে যেতেন তিনি। কিন্তু তেমনটা না করায় রানের খাতা না খুলেই মাঠ ছাড়তে হয় লিটনকে। এরপরের গল্পটা শুধুই ইমরুল আর সৌম্যর।

ওয়ানডে ক্রিকেটে জুটির ক্ষেত্রে দেশের ইতিহাসের প্রায় সব রেকর্ড তছনছ করে দিয়েছেন এ দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তবু রয়ে গেছে মাত্র ৫ রানের আক্ষেপ।

দেশের ইতিহাসে যেকোনো উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের জুটিটি গড়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব আল হাসান। ২০১৭ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পঞ্চম উইকেটে দুজন মিলে গড়েছিলেন ২২৪ রানের জুটি।

ইমরুল ও সৌম্য যেভাবে এগুচ্ছিলেন মনে হচ্ছিল সাকিব-মাহমুদউল্লাহর রেকর্ড ভেঙে অবিচ্ছিন্ন জুটিতেই শেষ করে দেবেন ম্যাচ। ঠিক তখনই ইনিংসের ৩০তম ওভারের শেষ বলে ছক্কা মারতে গিয়ে লংঅনে ডোনাল্ড তিরিপানোর হাতে ধরা পড়েন সৌম্য। ভেঙে যায় ইমরুলের সাথে ২২০ রানের জুটি।

আউট হওয়ার আগে নিজের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করে নেন সৌম্য। ৯ চার ও ৬টি ছক্কার মারে মাত্র ৯২ বলে ১১৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এছাড়া জুটিতে ২২০ রান যোগ করার পথে ভেঙে দেন বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় উইকেট জুটির আগের রেকর্ডটি।

চলতি বছরের জুলাইতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ২০৭ রানের জুটি গড়েছিলেন সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। সে রেকর্ডটিকে বাড়িয়ে ২২০ রানে নিয়ে গেলেন ইমরুল ও সৌম্য। পাঁচ রানের জন্য যেকোনো উইকেটের রেকর্ডটি ভাঙতে না পারলেও দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে গেছে এই জুটি।

এছাড়া দেশের মাটিতে যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড এতোদিন ধরে ছিল মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবালের দখলে। ২০১৫ সালে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করা সিরিজের প্রথম ম্যাচেই ১৭৮ রানের জুটি গড়েছিলেন এ দুজন। সে জুটির রেকর্ড ভেঙে আজ ২২০ রানের জুটি গড়লেন ইমরুল-সৌম্য।

জুটি বাদ দিলেও ব্যক্তিগত দুই সেঞ্চুরিতে আরও একটি রেকর্ড গড়েছেন ইমরুল ও সৌম্য। ম্যাচে দুজনই হাঁকিয়েছেন সেঞ্চুরি। দেশের ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এনিয়ে মাত্র তৃতীয়বার একই ম্যাচে হলো দুই সেঞ্চুরি। এর আগে ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে তামিম ও মুশফিক এবং ২০১৭ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ দেখিয়েছিলেন এই কৃতিত্ব।

শেয়ার করুন: