জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে কটূক্তির ঘটনায় মানহানির মামলায় গ্রেফতার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম উদ্যোক্তা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে তাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে নেয়া হয়। এসময় ব্যারিস্টার মইনুলের জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পরে আদালত প্রাঙ্গণে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেখানে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে সেখানে গিয়ে তাকে জামিন আবেদন করতে হবে। এখানে তার জামিন দেয়ার এখতিয়ার নেই। ফলে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন।’

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টীকে ‘চরিত্রহীন’ বলে দেশের সব নারী সমাজকে অপমানিত করেছেন। শুধু তাই নয় বিএনপি-জামায়াত জোট দেশের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র করছে এটার তারই অংশ বলেও দাবি করেন আবু আব্দুল্লাহ।

তবে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘মানহানির মামলায় এমনভাবে গ্রেফতার ও জামিন নামঞ্জুর নজিরবিহীন। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক ভাবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

জামিনের জন্য হাইকোর্টে যাবেন বলেও তিনি সাংবাদিকদের জানান।

দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে প্রিজন ভ্যানে ডিবি থেকে বের হতে দেখা যায় এবং ১টার দিকে আদালতে পৌঁছায়। এসময় বিপুল পরিমাণে পুলিশ ও ডিবি সদস্য মোতায়েন ছিল।

উল্লেখ্য, সোমবার (২২ অক্টোবর) রাত ৯টা ২৫ মিনিটে ডিবি পুলিশের একটি দল রাজধানীর উত্তরায় জেএসডি নেতা আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম জানান, গ্রেফতারের পরই ব্যারিস্টার মইনুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজধানীর মিন্টো রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেয়া হয়। ব্যারিস্টার মইনুলকে রংপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।

সম্প্রতি এক টেলিভিশন টকশোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’বলার পর থেকে সমালোচনার মুখে পড়েন মইনুল। একপর্যায়ে তিনি টেলিফোনে ক্ষমা চাইলেও মাসুদা ভাট্টি প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন। তা না করায় মইনুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন মাসুদা ভাট্টি।

শেয়ার করুন: