ডাবের পানি অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর একটি পানীয়। সুস্থতার জন্য জরুরি আরেকটি প্রাকৃতিক উপাদান মধু। ডাবের পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিয়মিত পান করলে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে দূরে থাকা যায়। এক গ্লাস ডাবের পানিতে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে নাস্তার আগে পান করুন। তাহলে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে-কাছে ঘেঁষতে পারবে না। সেইসঙ্গে শরীরের কর্মক্ষমতাও মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পায়। মধু মিশ্রিত ডাবের পানির উপকারিতা—
হৃদযন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ে: ডাবের পানির সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে নিয়মিত খাওয়া শুরু করলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। সেইসঙ্গে হার্টের পেশীর কর্মক্ষমতা বাড়তে থাকে। ফলে কোনো ধরনের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। সেইসঙ্গে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়ায়: শরীর থেকে ময়লা এবং ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দেয় কিডনি। কিন্তু কিডনিকেও তো পরিষ্কার রাখার বিষয়টিও মনে রাখা প্রয়োজন। তাই প্রতিদিন পান করতে হবে ডাবের পানি আর মধু। কারণ এই পানীয়টি কিডনিকে পরিষ্কার রাখে। ফলে শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন তো বেরিয়েই যায়, সেই সঙ্গে কিডনিও চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
শরীর এবং ত্বকের বয়স কমায়: ডাবের পানি এবং মধু মিশিয়ে বানানো পানীয়টিতে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন- এ রয়েছে, যা শরীরকে নানা রকমের ক্ষতিকর উপাদানের প্রভাব থেকে বাঁচায়। ফলে শরীর ভেতর থেকে চাঙ্গা হয়ে ওঠে। এ কারণে শরীর ও ত্বকের বয়স কম মনে হয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে: এই পানীয়টিতে উপস্থিত ভিটামিন এবং মিনারেল কোষকে উজ্জীবিত করে। ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। বাওয়েল মুভমেন্টকে স্বাভাবিক করার মধ্যে দিয়ে এ পানীয়টি কনস্টিপেশন থেকে দূরে রাখে।
হজমশক্তি বাড়ায়: প্রতিদিন ডাবের পানির সঙ্গে মধু খেলে অ্যাসিড উৎপাদনের পরিমাণ কমতে শুরু করে। ফলে বদহজম, অ্যাসিডিটি এবং কনস্টিপেশনের মতো সমস্যা দূরে থাকে।
এনার্জির ঘাটতি দূর করে: গবেষণায় দেখা গেছে সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এই পানীয়টি খেলে শরীরে বিশেষ কিছু খনিজের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে সহজে শরীর ক্লান্ত হয় না।
কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়: যারা হাই-কোলেস্টরলের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য ডাবের পানি আর মধু বেশ কার্যকর। দেখবেন অল্প দিনেই কোলেস্টেরল লেভেল একেবারে স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এছাড়া এ পানীয়টি খেলে রক্তনালীতে জমতে থাকা কোলেস্টরল কিংবা ময়লাও ধুয়ে যায়। ফলে হৃদরোগসহ বিভিন্ন জটিল রোগ হওয়ার আশঙ্কা কমে।