চারদিকে নেতিবাচক খবর, তা থেকে বাড়ে দুর্ভাবনা। ফলে বেড়ে যায় টেনশনও। অফিসে কাজের চাপ, বাসায় নিজের এবং কাছের মানুষদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে উৎকণ্ঠা। এসবেও আপনার শরীরে বাসা বাঁধছে রোগ। অসুখের হাত থেকে বাঁচতে টেনশন থেকে মুক্ত থাকা জরুরি। মনোবিদদের মতে-বেশ কিছু নিয়মে টেনশন থেকে সহজেই মুক্ত থাকা যায়। কয়েকটি সহজ উপায় মেনে চললেই টেনশন কাটিয়ে সুস্থ থাকতে পারবেন। জেনে নিন সেসব নিয়ম—
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!পরিমিত ঘুম: অনেকেরই প্রবল টেনশনের সময় ঘুম পায়। কেউ বা দু’চোখের পাতা এক করতে পারেন না। কিন্তু যদি নিরিবিলিতে ঘুমানোর অভ্যাস রপ্ত করতে পারেন, তাহলে তার মতো ভাল উপায় আর হতেই পারে না। টেনশন গ্রাস করছে দেখলে বা অনেকটা মানসিক চাপ পড়ে গেলে সময় বের করে একটু ঘুমিয়ে নিন।
মেডিটেশনের অভ্যাস: প্রতিদিন ধ্যান বা মেডিটেশনের অভ্যাস আপনাকে অনেকটাই টেনশনমুক্ত রাখার চেষ্টা করবে। শ্বাসের আদান-প্রদানকে নিয়ন্ত্রণে রেখে নানা ঘটনায় মনকে শান্ত থাকার পাঠ শেখায়।
পছন্দের গান শুনুন: গান শুনতে ভালবাসলে দিনের মধ্যে কিছুটা সময় প্রিয় গায়ক ও তার গান শুনে কাটান। মনের উপর চাপ খুব সহজেই দূর করে দিতে পারে গান
খাবারে যত্নশীল: খাবারের মেন্যুতে রাখুন স্বাস্থ্যকর মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও পটাশিয়াম জাতীয় খাবার। অ্যাভোকাডো জাতীয় ফল রাখুন ডায়েটে। টেনশন কমিয়ে ব্লাড প্রেশারকে নিয়ন্ত্রমে রাখে তা।
বিশ্বস্ত মানুষের সঙ্গ জরুরি: খুব টেনশনের সময় এমন কোনো মানুষের সঙ্গ নিন, যিনি কাছে থাকলে অনেকটা চাপমুক্ত থাকতে পারেন কিংবা এমন কেউ যাকে নিজের সব সমস্যার কথা বলতে পারেন। তেমন প্রিয় কোনো মানুষের সঙ্গ অনেকটাই মনের চাপকে কমিয়ে দেয় বলে মত মনোবিদদের।
শখের কাজে মনোযোগ: গল্পের বই পড়া হোক বা পছন্দের কোনো শখ, টেনশন কমাতে সেগুলো করুন। মনকে যত অন্য দিকে রাখবেন, ততই টেনশন কমবে। যদি পার্লারে গিয়ে সময় কাটাতে বা শপিং করতে ভালবাসেন, তাহলে তাই করুন। এতেও টেনশনের চাপ কমে যাবে।