আইয়ুব বাচ্চু

যে পরিচয়টা দিতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করতেন আইয়ুব বাচ্চু

আইয়ুব বাচ্চু নিজেকে প্রথমত: একজন গিটারিষ্ট হিসেবে ভাবতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। একই সাথে শ্রোতারা তাকে যেভাবে দেখতে চান সেভাবেই তিনি পরিচিত থাকতে চান সবার কাছে। তিনি একজন কম্পোজার-গায়কও বটে। সংগীতে জগতে তিনি রয়েছেন প্রায় ৩০ বছর।

ফিলিংস নামের একটি ব্যান্ড দলের হয়ে কাজ শুরুর আগে বন্ধুবান্ধবদের সাথে গোল্ডেন বয়েজ, আগলি বয়েজ, স্পাইডার নামের বিভিন্ন ব্যান্ড দল গড়েছিলেন তিনি।

ফিলিংস-এর হয়ে চট্টগ্রামে একটি হোটেলে গান করতেন তারা। এরপর ১৯৮০ সালে সোল্স-এ কাজ শুরু করেন। হার্ড রক ধরনের গান করার জন্য ১৯৯০ এর দশকে তিনি এলআরবি গঠন করেন।

সেসময় ১৯৯১ সালে এলআরবি নামে একটি এলবাম বের করেন তারা। মি: বাচ্চুর সংগীতের অনুপ্রেরণা জিমি হেন্ডরিক্স, জো স্যাটরিনি, স্টিভ মুর এমন অনেকেই।

তবে তিনি তাদের গানের অনুকরণ করতে চান না মোটেও। তিনি তাদের পথে হাঁটতে চান মোটে। মূলত, রক ঘরনার গান করলেও আধুনিক, ক্ল্যাসিকাল, লোকগীতি ইত্যাদি ঘরনার গানও করেছেন মি: বাচ্চু।

এধরনের গানের ক্ষেত্রেও শ্রোতাদের সাড়া পেয়েছেন প্রচুর এমনটাই জানান তিনি। আব্দুল আলীম-এর একটি এ্যালবাম রিমেক করেছেন তিনি, এবং সেখানে শ্রোতাদের প্রচুর সাড়া পেয়েছেন বলে জানান।

তিনি বাংলা ভাষাভাষী তরুণ প্রজন্মকে জাগিয়ে রাখার জন্যই গান করেন বলে জানান। আয়ুব বাচ্চুর গানের ভক্তদের অনেকেরই অভিযোগ এমন যে এই সময়ের এসে আপনি বাণিজ্যিক গানের প্রতি বেশী মনোযোগ দিচ্ছেন।

গান যারা শোনেন তারা আপনার জনপ্রিয় গানগুলি যেমন, সেই তুমি কেন এতো অচেনা হলে, রুপালী গিটার, কষ্ট পেতে ভালোবাসি, হাসতে দেখ গাইতে দেখ — এমন সব গানের পরে আম্মাজান কিংবা এক চালা টিনের ঘর এমন গানগুলো তারা ভালোভাবে নেয়নি।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন এখন আর তারা এমন গান করেন না। তবু তিনি মনে করেন ওই গানেরও শ্রোতা নিশ্চই আছে। মি: বাচ্চু বলেন, এখন যে ধরনের গান হচ্ছে রেডিওতে সেগুলোর পাশাপাশি শ্রোতাদের উচিত ভালো গানকে সমর্থন দেয়া।

তিনি বলেন, অনেক সময়ই দেখা যাচ্ছে জোড়াতালি দিয়ে বানানো গান রেডিওতে বাজানো হচ্ছে, এটি কতটা ভালো তা দেখার দায়িত্ব তিনি শ্রোতাদের উপরেই দিয়েছেন।

বাংলাদেশে গানের পাইরেসী এবং নতুন এলবাম বেরুনোর সাথে সাথে ইন্টারনেটে আপলোড করে দেয়ার প্রবনতার সমালোচনা করে মি: বাচ্চু বলেন, এসবের কারনে দেশের অডিও ইন্ডাষ্ট্রি মৃতপ্রায়। এটি চলতে থাকলে আগামী হয়তো ভালো গান আর হবে না এমন আশংকাও প্রকাশ করেন তিনি।

শেয়ার করুন: