ফেসিয়াল

মাত্র ১০ মিনিটে ত্বক ফর্সা করার উপায় জেনে নিন

সারাদিনের ধুলাবালি ও রোদে পোড়া কালো দাগ দূর করার জন্য এই ঘরোয়া টিপস টি ব্যবহার করে দেখুন কাজ হবেই হবে। টিপসটি তৈরি করার জন্য যেসব জিনিসগুলি লাগবে সেগুলি হলো লেবু, রান্নার হলুদ গুঁড়ো,চালের গুড়ো, বাসন এবং গোলাপ জল।

প্রথম টিপস: একটি বাটিতে এক চামচ চিনি নেবেন। চিনি ত্বক থেকে মৃত কোষ দূর করে ত্বককে ফর্সা,উজ্জ্বল এবং নরম করে তোলে। এছাড়াও রোদে পোড়া কালো দাগ এবং বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে। এরপরে দের চামচ হলুদ গুঁড়া দেবেন। প্রাচীনকাল থেকে হলুদ রুপ চর্চার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এতে রয়েছে আন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ত্বক থেকে ব্রণ দূর করে।

এবার চিনি এবং হলুদ গুঁড়া ভালো করে মিশিয়ে নেবেন। এরপর একটি লেবুর অর্ধেক নেবেন। লেবু হলো প্রাকৃতিক বীজ যা ত্বক কে দ্রুত ফর্সা করতে সাহায্য করে। এবার অর্ধেক লেবুটিকে আগে থেকে তৈরি করা মিশ্রনে ডিব করে নেবেন এবং এর সাহায্যে আপনার ত্বকে ৫ মিনিট ধরে স্কার্ব করবেন।

লেবুতে হিলিং প্রোপার্টিজ থাকে যা ত্বককে সুস্থ করে এবং ত্বকে উজ্জ্বলতা আনে। স্কার্ব করার সময় লেবুকে একটু স্কোয়জ করে নেবেন । এতে লেবুর রস সহজেই বেরিয়ে আসবে এবং অবশ্যই হালকা হাতে স্কার্ব করতে হবে। জোরে জোরে স্কার্ব করলে ত্বকে ক্ষতি হতে পারে। লেবু এবং হলুদ গুঁড়া একসাথে ব্যবহারের ফলে ত্বকে কোনো হলুদ ভাব থাকবে না।

দ্বিতীয় টিপস: একটি বাটিতে এক চামচ চালের গুঁড়া নিন। চালের গুঁড়ো তে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন E এবং আন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা আপনার ত্বককের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। আর আপনার ত্বকে যদি ট্যান থাকে তাহলে চালের গুঁড়া আপনার জন্য অত্যন্ত উপকারী। এরপর দেবেন আজ চামচ বাসন। বাসন ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল কমানোর সাথে সাথে ত্বককে ভিতর থেকে পরিষ্কার করে দেয়।

এরফলে ব্রণ বা কালো দাগ দূর হয়ে যায় এবং ত্বক ফর্সা ও ট্যান হয়। এবার গোলাপ জলের সাহায্যে এটাকে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। আপনার কাছে যদি গোলাপ জল না থাকে তাহলে এর পরিবর্তে কাচা দুধ নিতে পারেন। গোলাপ জল ত্বক থেকে বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে এবং এতে ভিটামিন C এবং আন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে। যা ব্রণ এবং মাস্তা দুর করতে সাহায্য করে।

এবার এই পাকটিকে আপনার ত্বকে লাগিয়ে নিন। এই প্যাকটি আপনার ত্বক থেকে কালো দাগ,রোদে পোড়া দাগ এবং রিনকেলস দূর করতে সাহায্য করে। প্যাকটি লাগানোর পর শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়ার পর নরমাল জল দিয়ে ধুয়ে নেবেন।

শেয়ার করুন: