তরুণ প্রজন্মের কাছে সিক্স প্যাক অ্যাবস হলো হালের ক্রেজ। নিদারুণ পক্ষে একটু বাইসেপ আর অ্যাবস না হলে যেনো চলেই না! এজন্য জিম যাওয়া অবধারিতই। কিন্তু স্বপ্নের ফিল্মস্টারদের মতো মাসল-বডি কি আর একদিনে হয়? শর্টকার্ট পথ ধরতে প্রোটিন পাউডার বেশ জনপ্রিয়। তা এই প্রোটিন পাউডারটা কী? এটি হলো এক ধরনের ডায়েটারি সাপ্লিমেন্ট। দ্রুত শরীরে মাসল তৈরিতে এর জুড়ি নেই।
কিন্তু প্রত্যেক ক্রিয়ার যেমন বিপরীত প্রতিক্রিয়া থাকে, এই অমোঘ সূত্র থেকে মুক্ত নয় প্রোটিন পাউডারও। যদিও প্রচলিত, এটি সবার জন্য নিরাপদ। কিন্তু পুষ্টিবিদরা খুঁজে পেয়েছেন পার্শ্বপ্রতিক্রয়া। চট করে জেনে নিই প্রোটিন পাউডারের পাঁচ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
দেখা দেয় ব্রণ: এমনিতেই প্রোটিন পাউডারে থাকে কিছু হরমোন ও বায়োঅ্যাকটিভ পেপটাইডস, যা শরীরে সেবামের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। যা থেকে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে মুখমণ্ডল, গলা ও পিঠে ব্রণ দেখা দেয়।
ভারসাম্যহীন পুষ্টিমিশ্রণ: বাকিসব প্রাকৃতিক আমিষের যেমন- মাছ, মাংস, ডিম প্রভৃতির তুলনায় প্রোটিন পাউডার শরীরে পুষ্টির ভারসাম্য তৈরি করে। শরীরের চাহিদা পরিমাপ না করে অনেকে সেবন করায় এটি নানাবিধ রোগের কারণও হয়ে দাঁড়ায়।
মাইক্রোবায়োটার শক্তিকে অস্থিতিশীল করে: প্রত্যেকটি খাবারেই নির্দিষ্ট কিছু উপকারী বা অপকারী পদার্থ থাকে। যেমন দুধে থাকা অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল কমপাউন্ড ল্যাক্টোফেরিন অন্ত্রের সমস্যা তৈরি করে। পাশাপাশি প্রোটিন পাউডার সেবন পাকস্থলী ও পেটের নানাবিধ সমস্যা সৃষ্টি করে।
এটি এক ধরনের বিষ: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বডি বিল্ডাররা যারা প্রোটিন সেবন করে থাকেন অবশ্যই তারা যেনো নির্ভরযোগ্য কোম্পানি থেকে কেনেন। কিছু কোম্পানির প্রোটিন পাউডারের মধ্যে পুষ্টিবিদরা উচ্চমানের বিষজাতীয় পদার্থ যেমন সীসা, ক্যাডমিয়াম, আর্সেনিক ও পারদ পেয়েছেন। এসব পদার্থ মাসল পেইন, হজমের সমস্যা, ফ্যাট, মাথা ব্যথা বাড়ায়।
বাড়িয়ে দেয় ইনসুলিন লেভেল: প্রোটিন পাউডার পোস্টপ্রান্ডিয়াল ও ব্যাসাল ইনসুলিন বাড়িয়ে তোলে যা শরীরের গ্রোথ ফ্যাক্টরে ক্ষতি করে। ব্যায়ামের পরে প্রোটিন সেবন বাড়িয়ে দেয় ইনসুলিনও।
bdview24.com Bangla News from Bangladesh regarding politics, business, lifestyle, culture, sports, crime. bdview24 send you all Bangla News through the day.