বৃষ্টি কমলেই আবার বাড়বে গরম

চলমান ঘূর্ণিঝড় তিতলির প্রভাবে বৃষ্টিপাত আজ শনিবারও থাকবে। আগামীকালের পর থেকে আবহাওয়া ধীরে ধীরে আগের অবস্থানে ফিরে যাবে। বৃষ্টিপাত কমার পড়েই রোদের প্রখরতায় গরম অনুভব হবে। দিনের ও রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে।

ঢাকা আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আয়েশা খাতুন শনিবার সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, অক্টোবর মাসজুড়ে দিন ও রাতে তাপমাত্রা বাড়লেও নভেম্বরে তা কমে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হবে।

ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার বেগে বৃহস্পতিবার ভোরে ভারতের উড়িষ্যা ও অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় তিতলি।
তবে উড়িষ্যা-অন্ধ্র উপকূল অতিক্রম করার পর বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হতে শুরু করে ঘূর্ণিঝড়টি। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারতে ৮ জন নিহত হন। বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদদের ধারণা ছিল, তিতলি ভারতের তিনটি রাজ্যে আঘাত হেনে বাংলাদেশের খুলনা, সাতক্ষীরা উপকূলের উপর দিয়ে বয়ে যাবে। তবে তিতলি দুর্বল হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত হয়।

শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে দেখা যায়, উড়িষ্যা-গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত স্থল নিম্নচাপটি উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে এটি আজ শনিবার সকাল ০৬টায় গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থান করছিল।

এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ দুর্বল হতে পারে। নিম্নচাপটির প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি হচ্ছে।

আবহাওয়া অফিস আরও জানায়, উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

শেয়ার করুন: