মানুষ পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে বহু প্রাণী। বিলুপ্ত প্রায় হয়ে গেছে আরও অনেক কিছুই। কখনও কি ভেবেছেন, ডাইনোসারের মতো বিলুপ্ত হতে পারে মানুষও? বিজ্ঞানীরা এমনটাই আশংকা করছেন। গর্ভধারণের জন্য শুক্রাণুর মান অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কিন্তু গত বেশ কিছু বছর ধরে শুক্রাণুর মান অনেকটাই কমে গেছে। আধুনিক জীবন যাত্রা, ভেজাল খাবার এবং নানা ধরণের কেমিক্যালের প্রভাবে শুক্রাণুর মান ও সংখ্যা কমে যাওয়াই হতে পারে মানুষের বিলুপ্তির কারণ।
ইউরোপ এবং আমেরিকার দেশগুলোর ফাটিলিটি ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসার জন্য যাওয়া ১২৪০০০ মানুষের ওপর জরিপ চালিয়ে জানা গেছে, শুক্রাণুর মান প্রতি বছর দুই শতাংশ হারে কমে যাচ্ছে। আলাদা আরেকটি জরিপেও ২৬০০ জন স্পার্ম ডোনারের ওপর জরিপ চালিয়েও একই ফলাফল পাওয়া গেছে।
আরেকটি দীর্ঘ মেয়াদি জরিপে জানা গেছে, পশ্চিমের দেশগুলোতে ১৯৭৩ থেকে ২০১১ পর্যন্ত শুক্রাণুর সংখ্যা ৫৯% শতাংশ কমে গেছে। মানবজাতির জন্য বিষয়টিকে হুমকি হিসেবে দেখছেন গবেষকরা। কারণ, এই ধারা অব্যাহত থাকলে পুরুষরা ধীরে ধীরে প্রজনন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে। সন্তানহীন থাকবে বহু মানুষ। ফলে ভবিষ্যতে হয়তো বিলুপ্তির স্বীকার হবে মানুষ।
অতিরিক্ত মদ্যপান, প্রসেস করা মাংস, ধূমপান, ক্যাফেইন, স্মার্ট ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার, বিশ্রামের অভাব, মেদ, মানসিক চাপ এবং ক্ষতিকর কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যবহারের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শুক্রাণু। এছাড়াও প্লাস্টিকের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শুক্রাণু। কিছু হরমোন পরিবর্তনকারী কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় প্লাস্টিক পণ্য তৈরি করার জন্য। এগুলো প্রাণীজ এবং ভেষজ খাবারের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। এসব কারণে টেস্টোস্টেরোন লেভেলে পরিবর্তন হচ্ছে এবং ক্যান্সারের প্রকোপও বাড়ছে।