সাজনা

সাজনা গাছের পাতা ও ফলের বিষ্ময়কর উপকারীতা

সাজনা গাছের পাতা ও সাজনা এক বিষ্ময়কর ঔষধি উপকরণ। এর উপকারীতা সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। আমাদের সকলের পরিচিত এই গাছটির গুণাগুণ সম্পর্কে, ৮০% লোকেই জানেন না। তাই আসুন জেনে নিই কি সেই বিষ্ময়কর উপকারীতা! সাজনা গাছের পাতার – মাধ্যে ৩০০ রোগের ঔষধ রয়েছে। তার মধ্যে বর্তমানে ডায়বেটিস, গেঁজ, আলসার এবং ক্যান্সার রোগের কোষ ধংস করার বড় গুণ রয়েছে।সাজনা গাছের পাতা শাক হিসাবে অনেক জনপ্রিয়। যা মানব শরীরের জন্য অনেক প্রয়োজন।

বর্তমান বিশ্বে এই গাছের পাতার অনেক চাহিদা, আমাদের আশা এবং বিশ্বাস খুব তারাতারি চা পাতার মত সাজনা পাতা ও আমাদের দেশ থেকে রপ্তানি হবে। সাজনা গাছের পাতা অবশ্যই খাওয়া যায়, অন্য শাকের মতই ভাজি করে খাওয়া যায়, সাধও অনেক ভালো। এছাড়াও সাজনার পাতা টেলে পেয়াজ কুচি রসুন, কাচা ঝাল হালকা তেলে হলুদ লবন দিয়ে ভেজে গরম ভাত দিয়ে খেয়ে দেখতে পারেন, এতে শরীরের ব্যাথা দ্রুত কমে যাবে।যাদের শরীরে পানি জমে পা ফুলে যায়,তাদের জন্য এটি খুবই উপকারী।সাত থেকে আট দিন খেলেই এর উপকারিতা বুঝা যাবে।

ইংরেজিতে সাজনার নাম ‘ড্রামস্টিক’ কিংবা Horse Radish Tree । বৈজ্ঞানিক নাম -Moringo Oleifera Lam. আমাদের দেশে সবজি হিসাবে ব্যবহৃত হলেও, সারা বিশ্বে সাজনা একটি অতি প্রয়োজনীয় জীবনরক্ষাকারী উদ্ভিদ হিসাবে ব্যবহার করা হয়ে আসছে।

এ গাছ মানব শরীরে যেমন হরমোন বর্ধন করতে পারে, তেমনি পারে মায়েদের বুকের দুধ বাড়িয়ে দিতে, সাজনার পাতার রস খেলে শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি হয় ও আহারের রুচি বৃদ্ধি পায়। সাজনার মধ্যে আছে ভিটামিন এ, বি, সি, নিকোটিনিক এসিড, এমানো এসিড, প্রোটিন ও চর্বি, কার্বোহাইড্রেট, গ্লাইকোরোটিনিস ইত্যাদি উপাদান আছে।

এত উপকারি সাজনা পাতা দিয়ে ভারতীয়রা স্যুপ তৈরি করে পান করে থাকে। সাজনা আবার বসন্ত রোগও প্রতিরোধ করতে পারে। সর্দি কাশিতে, যকৃতের কার্যকারিতায়, কৃমি প্রতিরোধে ফলদায়ক। শরীরের ব্যথা নাশক, হজম শক্তি বর্ধক, রক্তের সংবহনতন্ত্রের ক্ষমতা বর্ধক, উচ্চ রক্তচাপ কমায়, রক্ত স্বল্পতা দূর করে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে, হাপানি রোগ নিরাময় করে, বাত রোগও উপশম করে।

সাজনার ছালের বাইরের শক্ত আবরণ তুলে নিয়ে, ভালোভাবে ধোয়ে নিয়ে,শিলপাটায় সাজনার ছাল, কিছু পেয়াজ রসুন, কাঁচা মরিচ দিয়ে বেটে মিহি করে নিতে হবে, পরিমাণ মত লবণ মিশিয়ে দিলেই সাজনা ছালের ভর্তা হয়ে যায়। দুঃখের বিষয় এমন একটি মহা উপকারী উদ্ভিদ আমাদের দেশে কোন গুরুত্ব পাচ্ছে না। এই বিষয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেনতা বাড়াতে হবে। যারা অনলাইনে আছেন তারা Moringo টাইপ করে আপনারা গুগলসে সার্চ দিন তাহলেই বিস্তারিত জানতে পারবেন।

শেয়ার করুন: