কোন দলিলে কত টাকার স্ট্যাম্প লাগে ??

আমাদের প্রত্যাহিক জীবনের নানা বিষয়ে দলিল সম্পাদন করতে হয়। দলিলের বিষয়ের ওপর নির্ভর করে স্টাম্পের মূল্যমান বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। ২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেটে দলিল সম্পাদনের জন্য স্ট্যাম্পের নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে পুরনো মূল্যের স্ট্যাম্প দিয়ে দলিল লেখা হলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে ও কোনো রকম আইনগত ভিত্তি থাকবে না।

কোন দলিলে কত টাকার স্ট্যাম্প ব্যবহার করতে হবে তা তুলে ধরা হলো:-

* রাজউকের প্লট ও ট্যাক্রের দলিলের জন্য মোট মূল্যের ওপর ২ শতাংশ টাকার সমমানের স্ট্যাম্প;

* ট্রাস্ট ডিড ক্যাপিটাল দলিলের মূল্যের ওপর ২ শতাংশ টাকার সমমানের স্ট্যাম্প

*অছিয়তনামার কপির জন্য ৩০ টাকার স্ট্যাম্প;

*নকলের কবলা, বন্ড, বন্টননামা, সার্টিফায়েড কপির দলিলের জন্য ৫০ টাকার স্ট্যাম্প;

*অনুলিপি, খাস-মোক্তারনামা দলিলের জন্য ১০০টাকার স্ট্যাম্প;

*হলফনামা, বায়নার হলফনামা, হেবার ঘোষনাপত্র, না দাবি পত্র, বাতিল করন দলিলের জন্য ২০০ টাকার স্ট্যাম্প;

*চুক্তিনামা দলিল, অঙ্গীকারনামা, বায়নানামার দলিল, মেমোরেন্ডাম অব এগ্রিমেন্ট, রিডেম্পশন, সোলেনামা বা আপোষনামা দলিলের জন্য ৩০০ টাকার স্ট্যাম্প;

*আমোক্তারনামা দলিল ও সাফ-কবলা দলিলের জন্য ৪০০ টাকার স্ট্যাম্প;

*তালাকের হলফনামার দলিলের জন্য ৫০০ টাকার স্ট্যাম্প;

*অংশীদার দলিলের জন্য ২ হাজার টাকার স্ট্যাম্প;

*মর্টগেজ বা বন্ধক দলিল সম্পাদন এর ক্ষেত্রে-

ক)১ টাকা ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ২ হাজার টাকা

খ)২০ লক্ষ ১ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ৫ হাজার টাকা;

গ)১ কোটি ১ টাকার ওপরের ক্ষেত্রে ৫ হাজার টাকা ও প্রতি লাখের জন্য ২ শতাংশ হারে মোট টাকার মূল্যমানের স্ট্যাম্প লাগবে।

শেয়ার করুন: