সুপার ফোরে আজ সন্ধ্যায় আফগানিস্তাায়বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচেও আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামের বাতাস ঠান্ডা হওয়ার বার্তা নেই।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের গরম পড়বে এটাই স্বাভাবিক। ওই গরম সামলে মাঠে টিকে থাকার লড়াইয়ে রোববার মাঠে নামবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। হারলেও ফাইনালের সুযোগ থাকবে। কিন্তু তা ঝুলবে সুতোর ওপর। অংকের মার-প্যাচে।
বাংলাদেশ গ্রুপ পর্বে আফগানদের বিপক্ষে বাজে হারের স্বাদ পেয়েছে। সুপার ফোর নিশ্চিত হওয়ায় প্রস্তুতি বলে পার করে দেওয়া গেছে ম্যাচটি। কিন্তু এবার সে সুযোগ নেই।
বরং আফগানদের বিপক্ষে সুপার ফোরে হারলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই বিদায় ঘন্টা বাজতে পারে মাশরাফিদের। মুখ নিচু করে ফিরতে হতে পারে গত তিন আসরের দুটিতে ফাইনাল খেলা বাংলাদেশের।
তাই গুরুত্বপূর্ণ ওই ম্যাচের আগে দেশ থেকে উড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে দুই ওপেনার সৌম্য সরকার এবং ইমরুল কায়েসকে। তাদের দলে যোগ দেওয়া স্বস্তির হবে নাকি আরও চাপের তা এখনই বলা মুশকিল।
তাদের কেউ একাদশে থাকবেন কিনা সে ঘোরও থেকে যাচ্ছে। তবে একটি বিষয় পরিষ্কার। জয় ভিন্ন আপাতত অন্য কিছু ভাববার নেই বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ যদি আফগানদের বিপক্ষে রোববারের ম্যাচ হারে এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে জয় পায়-তবে দুই হার এবং এক জয় হবে মাশরাফিদের।
অন্যদিকে আফগানরা শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে হারলে তাদেরই দুই হার এবং এক জয় হবে। পাকিস্তান এক জয় পেয়েছে আফগানদের বিপক্ষে।
ভারতের বিপক্ষে হারলে এবং শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে হারলে দুই হার এবং এক জয় হবে তাদেরও। যে কোন এক দল তিন ম্যাচে জিতলে এবং অন্য তিন দল একটি করে জয় পেলে সমীকরণের হিসেবে ফাইনালে যাবে একটি দল।
কিন্তু সমীকরণেও বেশ পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে অলআউট হওয়া। এরপর তাদের ৭ উইকেটের বড় জয়। হাতে ১৩.৪ ওভার রেখে রান তুলে ফেলায় ভারত রান রেটে বেশ এগিয়ে আছে। পিছিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
নেট রান রেটে ভারত (১.৩২৯) সবার ওপরে। এরপর আছে পাকিস্তান (.০৭২)। আফগানদের নেট রান রেট -০.০৭২। আর বাংলাদেশের নেট রান রেট -১.৩২৯। তাই পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের জয় ভিন্ন কিছু ভাবার সুযোগ নেই আফগানদের বিপক্ষে।