'কার্ড’ এবং ‘ইয়োগার্ট'

‘কার্ড’ এবং ‘ইয়োগার্ট’ মানেই কিন্তু দই নয়, জেনে নিন পার্থক্য

ইংরেজিতে ‘কার্ড (Curd)’ বা ‘ইয়োগার্ট (Yogurt)’ শব্দটি লিখে গুগলে সার্চ দিলে দইয়ের ছবি আসে। কিংবা শব্দার্থ বের করতে গেলেও দই কথাটি আসে। কিন্তু কার্ড এবং ইয়োগার্টের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। মূলত আমরা দই বলতে যেটাকে চিনি সেটা আসলে ‘কার্ড’। এখানে এই দুই খাবারের পার্থক্য জেনে নিন।

প্রস্তুতিপর্বই আলাদা: দুটো খাবারই তৈরি হয়ে দুধ দিয়ে। তবে কার্ড তৈরি হয়ে দুধে এসিডিক পদার্থ দিয়ে। যেমন- দুধে লেবুর রস বা ভিনেগার দিয়ে কার্ড তৈরি করা হয়। আর ইয়োগার্ট বানানো হয় দুধে ব্যাকটেরিয়ার গাঁজন প্রক্রিয়ায়। এটা বানাতে নির্দিষ্ট কালচার পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয় যাতে থাকে ল্যাক্টোব্যাসিলাস বুলগারিকাস এবং স্ট্রেপ্টোককাস থার্মোফাইলস।

ইয়োগার্ট ভিন্ন ভিন্ন ফ্লেভার দেওয়া হয়: এর নানা ধরনের ফ্লেভার থাকে। আম, স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, পিচ, কিউয়ি, ভ্যানিলা ইত্যাদি ফ্লেভারে মিলতে পারে। কিন্তু কার্ড সাধারণত একই ফ্লেভারের হয়ে থাকে। অর্থাৎ, ফ্লেভারের জন্যে এতে অন্য কিছু মেশানো হয় না।

পুষ্টি উপাদানগত ভিন্নতা: ইয়োগার্ট ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস। আরো আছে ফসফরাস এবং ভিটামিন বি১২। অন্যদিকে, কার্ডে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন বি৬।

বাণিজ্যিক বনাম বাড়িতে বানানো: ইয়োগার্ট সাধারণত বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত হয়। কিন্তু কার্ড বাড়িতেই বানানো হয়। তবে মিষ্টির দোকানে যে দই মেলে তাও বাড়িতে বানানোর মতোই।

পুষ্টির মূল্যমান: ইয়োগার্ট খেলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে। দেহে কোলেস্টেরলেও মাত্রাও কমে। আর কার্ড হজমশক্তি বাড়ায়। সঙ্গে হজমপ্রক্রিয়া সুষ্ঠু করে তোলে।

শেয়ার করুন: