হার্নিয়া মূলত নারী-পুরুষ সবারই হতে পারে, তবে পুরুষদের এই রোগে ভীতিটা একটু বেশিই থাকে। হঠাৎ করেই নাভি, উদর ও উরুর সংযোগস্থল, পুরুষের ক্ষেত্রে অণ্ডথলি মহিলাদের ক্ষেত্রে উরুর ভেতরের দিকে ফুলে গেলে হার্নিয়া হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা যায়। পুরুষদের অণ্ডথলি ফুলে গেলে ফুলে গেলেই একে হার্নিয়া বলে ধারণা করা হয়। তবে অণ্ডথলি ফুলে গেলেই সেটা সবসময় হার্নিয়া নয়, এটা অনেক পুরুষই জানেন না। হার্নিয়া ছাড়াও অণ্ডথলি ফুলে যাওয়ার আরো অনেক কারণ থাকতে পারে।
সাধারণত অণ্ডথলি ফুলে যাওয়ার কারণগুলো হল- * আঘাতজনিত কারণে। * হার্নিয়া। * অণ্ডকোষের চারপাশে পানি জমা হওয়া (হাইড্রোসিল)। * অণ্ডকোষের চারপাশে পূঁজ জমা হওয়া (পায়োসিল)। * অণ্ডথলির রক্তনালী ফুলে যাওয়া (ভেরিকোসিল)। * অণ্ডকোষ প্যাঁচ লেগে যাওয়া। * অণ্ডকোষের টিউমার। * অণ্ডকোষের সংক্রমণ। * অণ্ডকোষের যক্ষ্মা। * সিস্ট।
সাধারণত গোপন স্থান দেখে লজ্জায় অনেকেই পরীক্ষা করাতে চান না। হার্নিয়া মনে করে বাসায় বসে থাকেন। তবে হার্নিয়া হোক আর যাই হোক, তা দ্রুত পরীক্ষা করানোই ভাল।
এছাড়া অণ্ডথলি ফুলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যথা, প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া ইত্যাদি সমস্যা প্রকার ভেদে হতে পারে। রোগীর সমস্যা শুনে, দেখে এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকরা সঠিক রোগ নির্ণয় করে থাকেন। সাধারণত রক্ত, প্রস্রাব, অণ্ডথলির আল্ট্রাসনোগ্রাফি ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। কখনও অণ্ডথলি থেকে সুই ফুটিয়ে পরীক্ষা করা উচিত নয়।