কাদের সিদ্দিকী
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী

'বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে লাথি মেরে বুড়িগঙ্গায় ফেলে দিতেন'

বঙ্গবীর এবং কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী। রাজনৈতিক অঙ্গনের এই নেতা প্রায়ই কোন না কোন বিসয় নিয়ে থাকেন আলোচনায়। সামনে আসছে নির্বাচন তাই এখন আরও বেশি মন্তব্য ছোঁড়াছুড়ি হচ্চে চারিদিকে। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরি, জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব এবং নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহামুদুর রহমান মান্নাকে নসীহা দিয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।

তিনি বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে মারার জন্য ষড়যন্ত্র করবেন, সেই ষড়যন্ত্রে কাদের সিদ্দিকীকে পাবেন না।’ বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে শহরের টাঙ্গাইল ক্লাব চত্বরে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ টাঙ্গাইল জেলা শাখার কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতি করেন, কিন্তু প্রতিপক্ষকে সম্মান করেন না। রাজনীতিতে প্রতিপক্ষকে সম্মান করতে শিখুন। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে এইসব অসম্মানকারীদের লাথি মেরে বুড়িগঙ্গায় ফেলে দিতেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ২০-২৫ দিনের জন্য শেখ হাসিনার পতন চাই না। চাই সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য একটি নির্বাচন। সেই নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার আমরা তাই করবো। আশা করছি ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন বাংলাদেশে আর হবে না। যে কারণে আমাদের দল নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে অসম্মান জনক কথা বলার জন্য আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদকে দল থেকে বহিষ্কারেরও দাবি করেন তিনি। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বঙ্গবীর বলেন, ‘আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, আওয়ামী লীগের কর্মচারী নন। তাই জনগণের সাথে ভালো ব্যবহার করেন।’

তিনি শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। আপনি বঙ্গবন্ধু কন্যা হিসেবে জনগণের ভোট নিয়ে ১০০ বছর ক্ষমতায় থাকুন আমরা স্বাগত জানাবো। তবে ভোট ছাড়া ক্ষমতায় থেকে মহিলা স্বৈরশাসক হিসেবে নিজের নাম লেখাবেন না।’

‘আমাদের দেশের প্রতিটি নাগরিকের বিশ্ব ব্যাংকের কাছে ঋণ ছিলো ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা। আর বর্তমানে মাথা পিছু ঋণ প্রায় ৬০ হাজার টাকা। বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত কোন উন্নয়ন হয় নাই। ১০ টাকার ঘোড়াকে ৬০ টাকার খাবার খাওয়াচ্ছেন। আমার বাসার সামনে এক পাগল বসে থাকে। সেই পাগলকে দেশের প্রধানমন্ত্রী করলে দেশের দ্বিগুণ উন্নয়ন করতে পারতো। জনগণের ভোট নিয়ে একশ বছর ক্ষমতায় থাকলে আমার কোন কথা নাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের কল্যাণের বাইরে কাজ করতে পারি না। যতক্ষণ বেচে থাকবো ততক্ষণ মানুষের কল্যাণে কাজ করবো। এদেশের জনগণ আমাকে ভালবাসে সেটা মুক্তিযুদ্ধে জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছেন। আমরা কারো পায়ে পারা দিয়ে ঝগড়া করি না। যদি আমাদের সাথে কেউ পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করতে আসে তাহলে পা আমরা রেখে দিবো।

শেয়ার করুন: