‘এমপি হই আর না হই কর্মীদের দিবো ৮টি ডান্ডা’

সাভারের আশুলিয়ায় গাড়িতে চড়ে মহাসড়কে শো ডাউন করেছেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা-১৯ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আবু আহম্মেদ নাসিম পাভেল।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে এই শোডাউন করেন তিনি। এসময় মহাসড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ থাকে। দুর্ভোগে পড়েন বিভিন্ন যানের যাত্রী থেকে শুরু করে পণ্যবাহী যানের চালকেরা।

শোডাউন শেষে আশুলিয়া প্রেসক্লাবে বসে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বিরূপ মন্তব্য করেন। যুবলীগ নেতার ব্যাক্তিগত প্রাডো গাড়ীতে চড়ে (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১১-৭৩৩০) পোশাক শ্রমিকসহ কয়েকশ’ লোক নিয়ে মহসড়ক অবরোধ রেখে শোডাউন করেন।

এ সময় ওই মহাসড়কটিতে দেখা দেয় ব্যাপক যানজট। দুর্ভোগে পড়েন কয়েক শতাধিক যানবাহনের যাত্রী। শোডাউন চলাকালে সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশের একটি গাড়ী তাদের নিরাপত্তায় কাজ করেন।

আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতির কার্যালয়ে বসে ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, সাংবাদিকদের পেছনে আমার সময় দেবার কোন প্রয়োজন নেই। বিগত সময়ে আশুলিয়া প্রেসক্লাবে কেন তাকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রন করা হয়নি এজন্য ক্লাবের নেতৃবৃন্দের নিকট জানতে চান।

রাগান্বিত হয়ে টেবিলচাপড়ে এই যুবলীগ নেতা বলেন, আমি চাইলে প্রতি মূহূর্তে সাংবাদিক বানাইতে পাড়ি। সাভার-আশুলিয়ার এমপি হই আর না হই, তিন মাসের মধ্যে আমার কর্মীদের আটটা ডান্ডা এনে দেবো। সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় তার মিছিলে কেন্দ্রীয় শ্রমিক নেত্রী হালিমা বেগমের নেতৃত্বে অংশগ্রহন করেন কয়েক শতাধিক শ্রমিক।

দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তির শোডাউনে মহাসড়ক বন্ধ করার বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি চাঁদাবাজি করিনা, কারখানা দখল করি না। কারো জমি দখল করিনি, রাজনীতিকে ইবাদত মনে করি।

আগামী নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা সৎ রাজনীতিবিদকেই দলীয় মনোনয়ন দিবেন। এতে আমার সম্ভাবনাই বেশি। আমার মিছিলে শ্রমিকরা আসবেই, রাস্তায় মিছিল করলে তো বন্ধ থাকবেই।

আমি ৩০ বছর ধরে রাজনীতি করি, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাসের সময়ও নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজপথে ছিলাম, এখনো রাজপথ ছাড়িনি।

উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাকা-১৯ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তির লক্ষ্যে এর পূর্বেও একই ধরনের শো ডাউন করেন তিনি। ওই শোডাউনে সাভার-আশুলিয়ার স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের উল্লেখযোগ্য কোন নেতার উপস্থিতি দেখা যায়নি।

শেয়ার করুন: