কজন মহিলার কাছে মা হওয়ার মুহূর্তটি সবথেকে সুন্দর মুহূর্ত। সব মহিলাই চায় এক সুস্থ সবল সন্তানের জন্ম দিতে। এটা এতটাই অভিভূতকারী মুহূর্ত যে এটাকে ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। গর্ভাবস্থা এবং তার সেই ছোট্ট বাচ্চাকে হাতে করে ধরা ভগবানের অনন্য দান, যা শুধুমা যমজ সন্তানের মা হওয়ার জন্য আপনিও এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে পারেন কজন মহিলার কাছে মা হওয়ার মুহূর্তটি সবথেকে সুন্দর মুহূর্ত। সব মহিলাই চায় এক সুস্থ সবল সন্তানের জন্ম দিতে। এটা এতটাই অভিভূতকারী মুহূর্ত যে এটাকে ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।
গর্ভাবস্থা এবং তার সেই ছোট্ট বাচ্চাকে হাতে করে ধরা ভগবানের অনন্য দান, যা শুধুমাত্র মহিলারাই উপভোগ করতে পারে। আর তার ওপর যদি যমজ বাচ্চার জন্ম হয় তাহলে তো সোনায় সোহাগা।
অভিন্ন যুগল বা ভ্রাতৃপ্রতিম যমজের জন্ম সব সময়ই একটা খুব সুন্দর মুহূর্ত। যদিও আজ আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য কৃত্রিমভাবেও যমজ সন্তানের জন্ম দেওয়া যায় কিন্তু প্রাকৃতিক পদ্ধতি অবলম্বন করাই সবসময় ভাল, তাই না! কারণ আপনি নিশ্চয়ই আপনার শরীরকে কোন রকম ক্ষতি করতে চাইবেন না। তাই এখানে আপনাদের জন্য এরকম কিছু পরামর্শ নিয়ে এসেছি যার ফলে আপনিও যমজ সন্তানের জন্ম দিতে পারেন। এখানে যমজ বাচ্চার জন্ম দেওয়ার ১৪ রকম পদ্ধতির কথা জানুন।
কাসাভা (আফ্রিকান মিষ্ঠি আলু)। কাসাভা গাছের শিখড়ে একরকমের হরমোন পাওয়া যায় যা মস্তিষ্ককে বলে যা আপনার শরীরে এসট্রোজেনের মাত্রা কম আছে। এর ফলে শরীরে গোনাডোট্রোপিন নিঃসৃত হয়, যা ওভুলেসনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই এবং এর ফলে আপনার যমজ সন্তান জন্মের সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ বেড়ে যায়।
দুগ্ধ জাতীয় সামগ্রী। বিভিন্ন প্রকারের দুগ্ধ জাতীয় সামগ্রীতে ইনসুলিন গ্রোথ ফ্যাক্টার পাওয়া যায়। তাই সে সব মহিলা নিয়মিত দুগ্ধ জাতীয় সামগ্রী গ্রহণ করে তাদের যমজ সন্তান জন্মের সম্ভাবনা ৫ গুণ বেড়ে যায়।
স্তন্যদুগ্ধ সেবন। যেসব মহিলা স্তন্যদুগ্ধ পান করায় তার যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা ১০ গুণ বেশি বেড়ে যায় কারণ ফলিকেল স্টিমুলেটিং হরমোন অধিক মাত্রায় নিঃসৃত হয় এবং যখন পিরিয়ড স্বাভাবিক হয়ে যায় তখন অধিক পরিমাণে ল্যাকটেসন হওয়ার জন্য শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমে যায়।
গর্ভ নিরোধক ঐষধ। গর্ভ নিরোধক পিল ছাড়ার ঠিক পরে গর্ভবতী হলে ওই সময় ডিম্বাশয় খুবই উর্বর থাকে এবং একটার বেশি ডিম্বাণু নিষ্কৃত হয়। এর ফলে যমজ সন্তান জন্মের সম্ভাবনা অনেক গুণ বেড়ে যায়। বিঃদ্রঃ গর্ভ নিরোধক পিল বন্ধ করার আগে গাইনোকোলজিস্টের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
ফলিক অ্যাসিড। সুইডেনে এক গবেষণা অনুযায়ী ফলিক অ্যাসিড সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে যমজ সন্তান জন্মের সম্ভাবনা অনেক গুণ বেড়ে যায়।
গর্ভধারণ। এটা খুব স্বাভাবিক ঘটনা যে সন্তান সংখ্যা যত বাড়বে যমজ সন্তান গর্ভধারণ করার সম্ভাবনাও ততই বাড়বে। পরিবারে যদি যমজ সন্তান জন্মের ইতিহাস থাকে তাহলেও আপনার ক্ষেত্রে সে সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বিশেষ করে যদি আপনার মায়ের পরিবারের দিক থেকে যদি কারুর যমজ সন্তান জন্মের ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে এর সম্ভাবনা প্রবল যে আপনার শরীরেও সম্ভবত সেই জিন উপস্থিত রয়েছে।
হাইপার ওভূলেসন। যখন কোন মহিলার ডিম্বাশয় থেকে পরিপূর্ণ ডিম্বাণু নিষ্কৃত হয় তখন একটা সুন্দর বাচ্চার জন্ম হয়। যখন একটার বেশি ডিম্বাণু নিষ্কৃত হয় তখন তাকে হাইপার ওভূলেসন বলে এর ফলে যমজ বাচ্চার জন্ম হতে পারে।
স্বাভাবিকের থেকে বেশি ওজন। সুইডিশ গবেষণা অনুযায়ী যে সব মহিলার ওজন স্বাভাবিকের থেকে বেশি তাদের ভ্রাতৃপ্রতিম যমজ সন্তান জন্মের সম্ভাবনা অনেক বেশি ।
রাঙা আলু। একের অধিক ডিম্বাণু নিষ্কৃত হলে যজম সন্তানের জন্ম হতে পারে এবং রাঙা আলু খেলে প্রথমটি হবার সম্ভাবনা অনেক গুণ বেড়ে যায়।
ম্যাকার শিকড় এক গবেষণায় দেখা গেছে যে সব মহিলা ম্যাকা সেবন করে তাদের মধ্যে একাধিক ডিম্বাণু পরিপূর্ণতা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এটা যে শুধুমাত্র ডিম্বস্ফোটনের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ তাই নয় এর ফলে উর্বরতাও বৃদ্ধি পায়।
৩০ বছর বয়সের পরে। হৃৎপিণ্ড স্ফীত হরমোন ডিম্বাশয় থেকে মুক্তির আগে ডিম উন্নয়নের জন্য দায়ী। বয়স্ক মহিলারা উচ্চ স্তরের এফএসএল এর প্রয়োজন হয় যেহেতু তরুণ মহিলাদের তুলনায় আরো বেশি উদ্দীপনার প্রয়োজন। কখনও কখনও গ্রন্থিকোষ একটি সময়ে দুই বা ততোধিক ডিম মুক্তির ফলে ফলাফল যমজ হতে পারে।
আনারশের শাঁস আনারশের শাঁসে প্রচুর মাত্রায় ব্রোমেলাইন উপস্থিত থাকে যা অনেক সময় যমজ সন্তান জন্মাতে সাহায্য করে। এটা ডিম্বস্ফোটনে সাহায্য করে।
আই.ভি.এফ আই.ভি.এফ এ একজন মহিলার ডিম্বাণু এবং একজন পুরুষের শুক্রাণুকে নিয়ে কৃত্রিমভাবে ল্যাবে ভ্রুণ তৈরি করা হয়। তারপর যমজ বাচ্চার জন্য একের বেশি ভ্রূণ জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করা যেতে পারে।