ব্রাজিল

ব্রাজিলের এক বামনের প্রেমকাহিনী!

বামনদের কথা অনেকের জানা। বিশেষ করে আমাদের দেশে বামনরা সার্কাসে অভিনয় করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। তবে আজ রয়েছে এক প্রেমিক বামনের কাহিনী। এই প্রেম কাহিনীর শুরু ফেসবুকে। ফেসবুকে প্রথম কথা হয় তাদের। তারপর আস্তে আস্তে ভালো লাগা। এভাবেই কেটে গেছে ১৮ মাস। সম্পর্ক কি আর টিকবে কাটুসিয়ার সঙ্গে! তাকে ব্লক করে দেওয়ার পর এটাই মনে হয়েছিল ব্রাজিলের বামন পাওলো গ্যাবরিয়েল দ্যা সিলভা ব্যারোসের।

তবে একদিন নিজেই পুরোনো বন্ধু পাওলোর সঙ্গে কথা বলেন কাটুসিয়া হোসহিনো। এরপর সেই সম্পর্ক আবার গড়ায় প্রেমে, তারপর বিয়ে। দেখতে দেখতে বর্তমানে ৮ বছর কাটিয়ে দিয়েছেন এই বামন দম্পত্তি। তারা বামন হলে কি হবে প্রেমে টেক্কা দিতে পারেন নামকরা সিনেমার গল্পকেও! তারা লায়লী-মজনু বা রোমিও জুলিয়েট নন, তারপরও তাদের প্রেমকাহিনী শুনে অনেকেই বিস্মিত হন। তবে বামন হওয়ায় সমাজ তাদের কতখানি মূল্যায়ন করে তা আমাদের জানা।

আক্ষেপ চেপে রেখে পাওলো বলেন, ‘আচ্ছা বামন বলে কি ভালোবাসতে নেই?’ এমন কথা বলতে বলতে চোখের কোণে পানি চিকচিক করছিল পাওলো গ্যাবরিয়েল দ্যা সিলভা ব্যারোসের।

স্ত্রী কাটুসিয়া হোসহিনোকে পাশে বসিয়ে তিনি বলছিলেন, ‘আমরা বামন, কিন্তু তাতে কী? আমরা আর পাঁচটা দম্পতির মতোই। তবে পার্থক্য শুধু আমাদের উচ্চতা নিয়ে। আমরা একে অপরকে খুব ভালোবাসি। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, আমাদের সম্পর্কের সবচয়ে বড় রসায়ন কী জানেন? আমরা একে অপরকে বুঝি, সবসময় নিজের বলেই অনুভব করি।’

স্বামীর হাতে হাত রেখে কাটুসিয়া বলেন, ‘পাওলোর সবচেয়ে বড় গুণ ও আমাকে খুব ভালোবাসে এবং বোঝে। আমি কখনও রেগে গেলে ও চুপ করে থাকে। পরে সে আমাকে বোঝায়। তখন আবার সব ঠিক হয়ে যায়।’ এভাবেই সংবাদ মাধ্যমকে তাদের প্রেম কাহিনী বলেন বামন দম্পতি।

শেয়ার করুন: