ফল খাওয়া নিয়ে বড়দের একটি পরামর্শ আমরা সবাই পেয়েছি। তা হলো রাতে ফল খেতে হয় না। কোনো চিন্তা না করে সবাই তা নিয়ম ধরেই নিয়েছি। বিশেষ করে রাতে কলা খেতে মানা করেন তারা। প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ এই ফল দেহের জন্যে দারুণ উপকারী। কিন্তু এটা রাতে খেলে কী সমস্যা? আসুন এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞের মতামত জেনে নেয়া যাক। সঙ্গে রয়েছে আরো কিছু তথ্য।
আয়ুর্বেদ বলে, রাতের সময় কলা খাওয়া বিপজ্জনক নয়। তবে কলা ঠাণ্ডা ফল। কাজেই যাদের ঠাণ্ডা-সর্দির সমস্যা আছে তাদের রাতে না খাওয়াই ভালো। তাছাড়া এটি হজম হতে বেশ সময় নেয় এবং এটা খাওয়ার পর আলসেমী ভর করতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, কলা এমন একটি ফল যা খুবই স্বাস্থ্যকর। দেহের প্রচুর শক্তি দেয়। তবে সর্দি লেগে থাকলে এবং অ্যাজমার সমস্যা থাকলে রাতে না খাওয়া উচিত। তবে ব্যায়ামের পর এবং সকাল-বিকালে খেলে কোনো সমস্যা নেই।
পাকস্থলীর এডিস নিয়ন্ত্রণ করে কলা। রাস্তা বা বাসার ভাজা-পোড়া খেয়ে যাদের অবস্থা খারাপ, তারা রাতে কলা খেলে জ্বালা-পোড়া কমে যাবে। কলা কিন্তু পাকস্থলীর আলসারও নিরাময় করে। এতে আছে প্রচুর পটাশিয়াম। কাজেই ক্লান্তিকর দিনের পর গভীর ঘুমের জন্যে রাতে কলা উপকারী হতে পারে। পেশিকে আরাম দেয় পটাশিয়াম। সন্ধ্যা বা বিকালের দিকে একটি-দুটি কলা খেলে রাতে ভালো ঘুমের প্রস্তুতি নেয় দেহ। বড় সাইজের একটি কলায় রয়েছে ৪৮৭ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম। প্রাপ্তবয়স্কের দেহে প্রতিদিনের চাহিদার ১০ শতাংশ সরবরাহ করে এই সাইজের একটি কলা।
একটি কলায় রয়েছে মাত্র ১০৫ ক্যালোরি। কাজেই আপনি যদি ডিনারে ৫০০ ক্যালোরির কম গ্রহণ করতে চান তো এক কাপ দুধ আর দুটো কলা খেয়ে ফেলতে পারেন। অনেকের রাতে মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে অস্থিরতা শুরু হয়। সেক্ষেত্রে কলা সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর। এই ফল যথেষ্ট মিষ্টি। কাজেই রাতে কলা খেতে যে কোনো সমস্যা নেই তা বলাই যায়। কিন্তু অ্যাজমা, সাইনাস এবং সর্দির সমস্যা থাকলে রাতের বেলা কলা এড়িয়ে চলাই ভালো।