কালোজিরাতে রয়েছে ফসফরাস, ফসফেট ও আয়রন। এই সব খনিজ শরীর অনেকটা রোগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত খাদ্যতালিকায় কালোজিরা রাখুন। ঠান্ডা লাগার সমস্যা মোকাবিলা ছাড়াও দেখে নিন এর বাকি গুণাগুণ। গৃহস্থ বাড়ির তরিতরকারি থেকে ময়দা বা বেসনের যে কোনও মুখরোচক ভাজাভুজি— কালোজিরা আমাদের খুব কাজে আসে। তবে শুধু খাবারের স্বাদ বৃদ্ধিতেই নয়, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় এই মশলার ব্যবহারও অনেক রয়েছে। বিশেযত, বর্ষায় কালোজিরার মাধ্যমে কাটিয়ে উঠতে পারেন হঠাৎ ঠান্ডা লাগা, সর্দি কাশির সমস্যাও।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ গৌতম গুপ্ত-র মতে, কালোজিরার ফসফরাস রোগ প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর। শরীরের যে কোনও জীবাণুর সঙ্গে লড়ে যেতে কালোজিরার ভূমিকা অসামান্য। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থেকে রেহাই পেতে অনেক চিকিৎসকই রোগীর পথ্যে কালোজিরা রাখতে বলেন। কালোজিরার আয়রন ও ফসফেট শরীরে অক্সিজেনের ভারসাম্য রাখে। এ ছাড়া কালোজিরার অনেক ঘরোয়া ব্যবহারও লক্ষ্যনীয়।
অনেকেরই বর্ষায় ঠান্ডা লেগে মাথা ধরে। ঘরোয়া উপায়ে তা কাটাতে হলে একটা পুঁটুলিতে কালোজিরা বেঁধে তা রোদে শুকোতে দিন। এর পর তা নাকের কাছে ধরে থাকলে জমে থাকা শ্লেষ্মা বেরিয়ে যায়, মাথা যন্ত্রণাও ছেড়ে দেয়। বর্ষায় পেটের সমস্যা থাকলে কালোজিরা রাখুন মেনুতে। ভাজা কালোজিরা গুঁড়ো করে আধ কাপ দুধে মিশিয়ে খেলে তা পেটের সমস্যাকে দূরে রাখে। কালোজিরা অ্যান্টি টক্সিনের কাজ করে। তাই তা প্রস্রাবকে নিয়মিত ও পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।