সোনা

হঠাৎ হাজার টাকার ওপর কমলো সোনার দাম

এক মাসের ব্যবধানে সনাতন পদ্ধতির ছাড়া অন্য সব ধরনের সোনার দাম ভরিতে এক হাজার ১৬৬ টাকা কমেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় স্থানীয় বাজারে সোনার দাম কমানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সাধারণ সম্পাদক দীলিপ কুমার আগারওয়ালা।

তবে গ্রামে-গঞ্জে, মফস্বলের ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিপ্রতি আগের ২৭ হাজার ৫৮৫ টাকাই রাখা হয়েছে। শুক্রবার থেকে নতুন দর কার্যকর হবে বলে বাজুস বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।

নতুন দর অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) সোনা ৪৮ হাজার ৬৩৯ টাকায় বিক্রি হবে। ২১ ক্যারেট সোনা বিক্রি হবে ৪৬ হাজার ৩৬৪ টাকা। ১৮ ক্যারেট সোনা বিক্রি হবে ৪১ হাজার ২৯০ টাকা।

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রতি ভরি সবচেয়ে ভালো মানের সোনা ৪৯ হাজার ৮০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। ২১ ক্যারেট সোনা বিক্রি হয় ৪৭ হাজার ৫৩১ টাকায়। আর ১৮ ক্যারেট সোনার দর ছিল ৪২ হাজার ৪৫৭ টাকা।

জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটে ৯১ দশমিক ৬ শতাংশ, ২১ ক্যারেটে ৮৭ দশমিক ৫ শতাংশ, ১৮ ক্যারেটে ৭৫ শতাংশ বিশুদ্ধ সোনা থাকে।

সনাতন পদ্ধতির সোনা পুরনো অলঙ্কার গলিয়ে তৈরি করা হয়। এ ক্ষেত্রে কত শতাংশ বিশুদ্ধ সোনা মিলবে তার কোনো মানদণ্ড নেই। রুপার দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি। আগের এক হাজার ৫০ টাকা ভরিতেই বিক্রি হবে রুপা।

সমিতির সাধারণ সম্পাদক আগারওয়ালা বলেন, গত এক মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স (২.৬৫ ভরি বা ৩৮ গ্রাম) সোনার দাম ৩০ ডলার কমেছে। সে হিসাব করে স্থানীয় বাজারে ২২, ২১ এবং ১৮ ক্যারেট সোনার দাম প্রতি ভরিতে এক হাজার ১৬৬ টাকা কমানো হয়েছে।

সনাতন সোনার দাম না কমানোর কারণ ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “আমরা এতদিন লক্ষ্য করে এসেছি, মফস্বলের যারা সোনা বিক্রি করতে আসত, তাদের ঠকানো হতো। ২২ ক্যারেটের সোনার দামের অর্ধেক দামে সনাতন পদ্ধতির সোনা বিক্রি হতো।

“বাজুসের পক্ষ থেকে বার বার অনুরোধ করার পরও জেলা প্রশাসন থেকে সনাতন পদ্ধতির সোনার মান সঠিকভাবে নির্ধারণ করা হতো না। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে প্রথমবারের মতো গত ২০ জুন অন্যান্য সব মানের সোনার দাম কমানো হলেও সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম বাড়ানো হয়েছিল।

“এবার আগের দামেই রাখা হয়েছে। আমরা পর্যায়ক্রমে ১৮ ক্যারেট সোনার দর আর সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম একই পর্যায়ে নিয়ে আসব।”

সর্বশেষ ২০ জুন ১৮, ২১ এবং ২২ ক্যারেট সোনার দাম কমানো হলেও সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম বাড়ানো হয়েছিল। অলংকার তৈরিতে সোনার দরের সঙ্গে মজুরি ও মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) যোগ দাম ঠিক করা হয়।

ধবধবে সাদা দাঁতের জন্যে বহুল ব্যবহৃত এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় উপাদানটি হলো টুথপেস্ট। বাজারে নানা ধরনের টুথপেস্ট মেলে। আপনি কোনটা ব্যবহার করবেন তা নির্ভর করে পছন্দের ওপর।

ভালো মানের পেস্ট ব্যবহার করাই ভালো। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা হলো, প্রতিবার দাঁত ব্রাশের জন্যে আপনার আসলে কতটুকু করে পেস্ট ব্যবহার করা উচিত। বিশেষজ্ঞরা সে সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছেন এখানে।

অনেকেই ভাবেন বেশি পেস্ট ব্যবহার করলে বেশি কাজ হয়। এটা ভুল ধারণা। এতে কেবল পেস্ট নষ্টই হবে। আসলে এ ধারণা হওয়ার পেছনে আপনার দোষ নেই। মূলত এটা কম্পানিগুলো বেশি বিক্রির জন্যে বেশি বেশি ব্যবহারের কথা বলে।

বাস্তবতা হলো, দাঁত ব্রাশের জন্যে আপনার সামান্য পেস্টই যথেষ্ট। গোলাকার একটা মুক্তোদানা যতটুকু হয়, টিউব থেকে পেস্ট বের করার সময় ততটুকু নিলেই চলবে। এতেই দাঁত পুরোপুরি ব্রাশ করা সম্ভব।

আবার বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও সাবধান থাকতে হবে। বয়স ৬ বা তার নিচে হলে একেবারে সামান্য পেস্টই যথেষ্ট। চালের একটা দানার সমান পেস্ট নিলেই হবে। শিশুরা পেস্ট গিলে ফেলে।

কাজেই তাদের যতটা কম পরিমাণ দেয়া সম্ভব ততোই ভালো। যদিও শিশুরা গিলে ফেললেও ক্ষতি নেই এমন পেস্ট তৈরি হয়। কিন্তু রাসায়নিক উপাদানের তৈরি একটা জিনিস কেনই বা গিলতে দেবেন? পেস্ট প্রচুর পরিমাণে ফ্লুরাইড থাকে। এটা ক্ষতিকর।

যদিও বড়দের প্রয়োজনের চেয়েও বেশি পরিমাণ পেস্ট ব্যবহারে কোনো ক্ষতি নেই। তবে এতে কেবল পেস্ট নষ্টই হবে।

কাজেই আসল কথা হলো, সামান্য বড় সাইজের বুদ্বুদের সমান পেস্ট নিলেই চলবে বড়দের। আর ছোটদের একটা শস্যদানার সমান পেস্ট নিলেই হবে। পেস্ট ব্যবহারের কারণ একটাই। এটা দাঁতে ফ্লুরাইড সরবরা করে। যা দাঁতকে পরিষ্কার রাখে।

শেয়ার করুন: