বিতর নামাযে প্রসিদ্ধ ও প্রচলিত দু’আ কুনুত পড়াটাই শুধু অত্যাবশ্যকীয় নয়, এক্ষেত্রে হাদীস শরীফে আরও একাধিক দু’আর কথাও এসেছে। তবে উত্তম এবং সুন্নত হল প্রসিদ্ধ দু’আয়েয়ে কুনুতটি পড়া। তাই এটি না জানলে কুরআন বা হাদীসে বর্ণিত যে কোন দু’আ সম্বলিত বাক্য পড়তে পারেন।
যেমন-
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
উচ্চারণ: রব্বানা আ-তিনা ফিদ্দুনইয়া হাসানাহ, ওয়া ফিল আ-খিরাতি হাসানাহ, ওয়া ক্বিনা আযাবান-নার।
অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দুনিয়াতেও কল্যাণ দান করুন, আখেরাতেও কল্যাণ দান করুন। এবং আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করুন।
তবে উত্তম ও সুন্নত যেহেতু প্রচলিত দু’আয়ে কুনুতটি পড়া, তাই দ্রুত শিখে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
দু’আয়ে কুনুত:
اللّهُمَّ إِنَّا نَسْتَعِينُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ وَنُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ وَنُثْنِيْ عَلَيْكَ الْخَيْرَ وَنَشْكُرُكَ وَلاَ نَكْفُرُكَ، وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَّفْجُرُكَ، اللّهُمَّ إِيَّاكَ نَعْبُدُ، وَلَكَ نُصَلِّيْ وَنَسْجُدُ، وَإِلَيْكَ نَسْعٰى وَنَحْفِدُ، نَرْجُو رَحْمَتَكَ وَنَخْشٰى عَذَابَكَ، إِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ.
অর্থ: ইয়া আল্লাহ, আমরা তোমারই সাহায্য চাই। তোমার কাছেই ক্ষমা প্রার্থনা করি। তোমার প্রতিই ঈমান আনি। তোমার উপরই ভরসা করি। আর তোমার প্রশংসা করি। আমরা তোমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। অকৃতজ্ঞ হই না। যে তোমার নাফরমানী করে, আমরা তাকে ত্যাগ করি, বর্জন করি।
ইয়া আল্লাহ! আমরা তোমারই ইবাদত করি, তোমারই জন্য নামায পড়ি ও সিজদা করি। তোমারই দিকে ধাবিত হই তোমারই আনুগত্য করি। তোমার রহমতের আশা রাখি আর তোমার আযাবকে ভয় করি। নিশ্চয়ই তোমার আযাব ধরে ফেলবে কাফেরদের।